ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে তীব্র গ্যাস সংকট:রান্না করতে হয় গভীর রাতে

 

মো: নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর বার্তা ডটকমঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসে ভরপুর হলেও সেই মুরাদনগরের মানুষ ভুগছে প্রকট গ্যাস সংকটে। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ধারাবাহিক ভাবে চলছে এই গ্যাস সংকট। অতিষ্ঠ মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা। সকাল ৬টার দিকে গ্যাস চলে যায় তা আসে রাত ৮টায়। সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। বিভিন্ন দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। দ্রুত এ সংকটের সমাধান নাহলে এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলেও জানা গেছে।

জানা যায়, উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ, নগরপাড়, উত্তর ত্রিশ, গকুলনগর, দক্ষিন ত্রিশ, কুলুবাড়ী, নবীপুর, রুপনগর আবাসিক এলাকা, গুঞ্জর, পৈয়াপাথর সহ কয়েকটি এলাকায় এই গ্যাস সংকট। দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ সমস্যা। গ্যাস না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন আবাসিক এলাকার অনেক বাড়ির মালিক। ভাড়াটিয়ারা থাকতে চাচ্ছেন না। তারা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিচ্ছেন বাড়ির মালিকদের। কী বাড়ির মালিক, কী ভাড়াটিয়া সবাই এখন গ্যাস সংকটে অতিষ্ঠ।

নগরপাড়ের বাসিন্দা লুৎফা আক্তার জানান, রান্না করার জন্য চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। মাঝে মধ্যে মিট মিট করে একটু গ্যাস পাওয়া গেলেও তাতে কোনো কাজ হয় না। সকাল ও দুপুরের রান্নার জন্য কাঠ, কেরোসিন ও লাকরির চুলার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।
পৈয়াপাথর এলাকার শিল্পী আক্তার বলেন, দিনে গ্যাস না পেয়ে রাতে রান্না করে রাখতে হচ্ছে। রাতে রান্না করা বাসি খাবার খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার অনেক মানুষকে খাবারের জন্য হোটেল-রেস্তোরায় ভিড় করতে দেখা যায়।

এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, আমাদের মুরাদনগর উপজেলার বৃহৎ ৩টি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গ্যাস সরবরাহ হয় অথচ আমরাই সঠিক ভাবে গ্যাস পাই না। আমাদের এ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকাই গ্যাস সংযোগ থেকে বঞ্চিত সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। তারা অচিরেই এই গ্যাস সংকটের সমাধান ও মুরাদনগর উপজেলার প্রত্যেকটি পরিবারে গ্যাস সংযোগ প্রদান করার দাবী জানান। ইতিপূর্বে এ উপজেলাবাসী গ্যাসের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গনস্বাক্ষরের মত কর্মসুচী পালন করে আসছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে তীব্র গ্যাস সংকট:রান্না করতে হয় গভীর রাতে

আপডেট সময় ১১:১৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

 

মো: নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর বার্তা ডটকমঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসে ভরপুর হলেও সেই মুরাদনগরের মানুষ ভুগছে প্রকট গ্যাস সংকটে। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ধারাবাহিক ভাবে চলছে এই গ্যাস সংকট। অতিষ্ঠ মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা। সকাল ৬টার দিকে গ্যাস চলে যায় তা আসে রাত ৮টায়। সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। বিভিন্ন দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। দ্রুত এ সংকটের সমাধান নাহলে এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলেও জানা গেছে।

জানা যায়, উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ, নগরপাড়, উত্তর ত্রিশ, গকুলনগর, দক্ষিন ত্রিশ, কুলুবাড়ী, নবীপুর, রুপনগর আবাসিক এলাকা, গুঞ্জর, পৈয়াপাথর সহ কয়েকটি এলাকায় এই গ্যাস সংকট। দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ সমস্যা। গ্যাস না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন আবাসিক এলাকার অনেক বাড়ির মালিক। ভাড়াটিয়ারা থাকতে চাচ্ছেন না। তারা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিচ্ছেন বাড়ির মালিকদের। কী বাড়ির মালিক, কী ভাড়াটিয়া সবাই এখন গ্যাস সংকটে অতিষ্ঠ।

নগরপাড়ের বাসিন্দা লুৎফা আক্তার জানান, রান্না করার জন্য চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। মাঝে মধ্যে মিট মিট করে একটু গ্যাস পাওয়া গেলেও তাতে কোনো কাজ হয় না। সকাল ও দুপুরের রান্নার জন্য কাঠ, কেরোসিন ও লাকরির চুলার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।
পৈয়াপাথর এলাকার শিল্পী আক্তার বলেন, দিনে গ্যাস না পেয়ে রাতে রান্না করে রাখতে হচ্ছে। রাতে রান্না করা বাসি খাবার খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার অনেক মানুষকে খাবারের জন্য হোটেল-রেস্তোরায় ভিড় করতে দেখা যায়।

এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, আমাদের মুরাদনগর উপজেলার বৃহৎ ৩টি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গ্যাস সরবরাহ হয় অথচ আমরাই সঠিক ভাবে গ্যাস পাই না। আমাদের এ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকাই গ্যাস সংযোগ থেকে বঞ্চিত সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। তারা অচিরেই এই গ্যাস সংকটের সমাধান ও মুরাদনগর উপজেলার প্রত্যেকটি পরিবারে গ্যাস সংযোগ প্রদান করার দাবী জানান। ইতিপূর্বে এ উপজেলাবাসী গ্যাসের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গনস্বাক্ষরের মত কর্মসুচী পালন করে আসছে।