ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে দপ্তরি নিয়োগে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া সনদে রাজমিস্ত্রি, রিকশাচালকসহ অক্ষর জ্ঞান শূন্য লোকদের টাকার বিনিময়ে উপজেলার শিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে দফতরি নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগ ক্ষমতাশীল দলের একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব দফতরি নিয়োগ নিয়ে এলাকায় চলছে চরম বির্তক তৈরী হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে গত ২২ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা সাকল্যে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে এই নিয়োগ হবে। প্রার্থীদের যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। এরই মধ্যে প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এবং নিয়োগপ্রার্থীদের নামের তালিকা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাসের বিধান থাকলেও শিক্ষিত আবেদনকারীদের পাশ কাটিয়ে অযোগ্য মূর্খদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সনদের সত্যতা যাচাই করতে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে এসব সনদের সত্যতা মেলেনি। আবার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এসব সনদ সংগ্রহ করে দপ্তরি পদে চাকরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মো: কাইয়ুম নামে এক রাজমিস্ত্রিকে চার লক্ষ টাকার, মোগসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার লক্ষ টাকা, রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাল লক্ষ টাকা, সোনাউল্লাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাচঁ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দফতরি কাম প্রহরী চাকরি দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরোদ্ধে। এ চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাস যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার বিধান থাকলেও বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মো: কাইয়ুম নামে এক রাজমিস্ত্রি প্রাইমারি অতিক্রম করতে পারেনি, অপর দিকে মোগসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউসুফ নামে এক ব্যাক্তি ভুয়া জন্ম সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে রেখেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কাইয়ুম আবেদনে সে উপজেলার বিষ্ণপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালের অষ্টম শ্রেণী পাসের একটি সনদ ব্যবহার করলেও সরেজমিন ওই বিদ্যালয়ে দেখা যায়, নজরুল ইসলাম নামে অপর একজনের নামের উপরে ফ্লোইড ব্যবহার করে হাজিরা খাতায় তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, ‘কোনো রকম নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। নিয়োগের আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল, কোনো রকম টাকা-পয়সা লেনদেন করলে প্রশাসন যদি জানতে পারে, সেটা তার দুর্বলতা ও অনভিজ্ঞতা হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। এসংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে ব্যবসায়ীর নামে মিথ্যা খবর প্রচার করে হয়রানির অভিযোগ

মুরাদনগরে দপ্তরি নিয়োগে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:০৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭
মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া সনদে রাজমিস্ত্রি, রিকশাচালকসহ অক্ষর জ্ঞান শূন্য লোকদের টাকার বিনিময়ে উপজেলার শিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে দফতরি নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগ ক্ষমতাশীল দলের একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব দফতরি নিয়োগ নিয়ে এলাকায় চলছে চরম বির্তক তৈরী হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে গত ২২ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা সাকল্যে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে এই নিয়োগ হবে। প্রার্থীদের যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। এরই মধ্যে প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এবং নিয়োগপ্রার্থীদের নামের তালিকা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাসের বিধান থাকলেও শিক্ষিত আবেদনকারীদের পাশ কাটিয়ে অযোগ্য মূর্খদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সনদের সত্যতা যাচাই করতে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে এসব সনদের সত্যতা মেলেনি। আবার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এসব সনদ সংগ্রহ করে দপ্তরি পদে চাকরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মো: কাইয়ুম নামে এক রাজমিস্ত্রিকে চার লক্ষ টাকার, মোগসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার লক্ষ টাকা, রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাল লক্ষ টাকা, সোনাউল্লাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাচঁ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দফতরি কাম প্রহরী চাকরি দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরোদ্ধে। এ চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাস যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার বিধান থাকলেও বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মো: কাইয়ুম নামে এক রাজমিস্ত্রি প্রাইমারি অতিক্রম করতে পারেনি, অপর দিকে মোগসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউসুফ নামে এক ব্যাক্তি ভুয়া জন্ম সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে রেখেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কাইয়ুম আবেদনে সে উপজেলার বিষ্ণপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালের অষ্টম শ্রেণী পাসের একটি সনদ ব্যবহার করলেও সরেজমিন ওই বিদ্যালয়ে দেখা যায়, নজরুল ইসলাম নামে অপর একজনের নামের উপরে ফ্লোইড ব্যবহার করে হাজিরা খাতায় তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, ‘কোনো রকম নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। নিয়োগের আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল, কোনো রকম টাকা-পয়সা লেনদেন করলে প্রশাসন যদি জানতে পারে, সেটা তার দুর্বলতা ও অনভিজ্ঞতা হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। এসংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি।