মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের খামার গ্রামের মৃত আবুল হাসেম সরকারের ছেলে চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের শিকার ব্যবসায়ী সৈকত হোসেন রনিকে (৩১) দাফনের ৪০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসাম্মৎ রাশেদা আক্তারের উপস্থিতিতে সৈকত হোসেন রণির লাশ উদ্ধারের কাজ শুরু হলে দুপুর ১১টায় শেষ করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, এসআই আবু হানিফ ও পিএসআই হাবিবুর রহমানসহ নিহত রনির পরিবারবর্গ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর রনির মা আয়শা খাতুন লাশ উত্তোলন পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে আবেদন করে।
আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট বিপ্লব দেবনাথ ১৩ সেপ্টেম্বর লাশ উত্তোলন পূর্বক ময়না তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে।
প্রসঙ্গত, সৈকত হোসেন রনি বাঙ্গরা বাজারে রড-সিমেন্ট ও হার্ডওয়ারের ব্যবসা করতো। এক পর্যায়ে একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী সোহেল মিয়া (২৮) রনির সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক তৈরী হয়। এর ফলে রনির স্ত্রী সাজিয়া আক্তারের সাথে সোহেল মিয়া পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে সোহেল মিয়াকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে গত ১৭ আগষ্ট রাতে স্ত্রী সাজিয়া আক্তারের (২০) পরামর্শে রনিকে সোহেল মিয়ার বাড়িতে ডেকে এনে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। রনির লাশ কবর থেকে উত্তোলনপূর্বক ময়না তদন্তের আদেশ দিতে রনির মা বৃদ্ধ আয়শা খাতুন (৭৮) বাদী হয়ে সোহেল মিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গত ২৪ আগষ্ট কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে একটি অভিযোগ করে। বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিপ্লব দেবনাথের নির্দেশ মোতাবেক বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ বুধবার রাতে অভিযোগটিকে এফআইআর হিসেবে গন্য করে।