মাহবুব আলম আরিফঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুরেরকান্দায় ফসলি জমি থেকে ড্রেজারে মাটি কাটার ফলে গ্যাস ট্রান্সলেসেন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল) এর ১৭ ইঞ্চি মোটা প্রায় দেড়শ’ ফুট লম্বা গ্যাস পাইপ লাইনটি টি গত তিন বছর ধরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। যার ফলে মুরাদনগর সদর, নবীপুর, নবীপুরেরকান্দা, মধ্যনগর, সোলাপুকুরিয়া, বাহারামেরকান্দা, রহিমপুর, ছিলমপুর, মোচাগড়া আশ-পাশের ৯টি গ্রামের মানুষ রয়েছে আতঙ্কের মধ্যে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, গত ১০বছর আগে নবীপুর গ্রামের সনাতন ধর্মের এক লোকের কাছ থেকে বাহারামেরকান্দা গ্রামের আনু মিয়া জমিটি ক্রয় করেন। পরে তিনি মারা গেলে তার ছেলে হোসেন মিয়া গত তিন বছর আগে নগদ টাকার বিনিময়ে ড্রেজার মালিকের কাছে জমির মাটি বিক্রয় করে দেন। মাটি খনন করা অবস্থায় গ্যাস পাইপটি মাটির নিচ থেকে ভেসে উঠলে এলাকার লোকজন বাধা দেয়। কিন্তু হোসেন মিয়া কারো বাধা না মেনে ড্রেজার মালিককে দিয়ে জমির পুরো মাটি বিক্রি করে ফেলেন। খবর পেয়ে দেবিদ্বার গ্যাস অফিস থেকে গত তিন বছরে দফায় দফায় লোক আসলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক গনি মিয়া বলেন, বাবুরে গত তিন বছর ধইরা এই গ্যাস পাইপের ভয়ে নবীপুরেরকান্দা বিলে জমি চাষ করা বন্ধ কইরা দিছি। হুনছি এইডা ছুটলে নাকি কেয়ামত হইয়া যাইবো।
গ্যাসের কাজে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, এই ১৭ ইঞ্চি পাইপটির ভিতর দিয়ে ৩২ হাজার ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হয়ে থাকে। যদি কোন কারণে এই পাইপটি খুলে যায় তবে আশ-পাশের আট দশ গ্রামের মানুষ সাথে সাথে বড় ধরনে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এ বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিশন কোম্পানীর দেবিদ্বার সাব-সেকশনের সহকারী প্রকৌশলি অতুল কুমার নাগ বলেন, মুরাদনগর উপজেলার নবীপুরেরকান্দার গ্যাস লাইনটি বাখরাবাদ গ্যাসের আওতা ভূক্ত নয়। এটির মূল অথরিটি হচ্ছে গ্যাস ট্রান্সলেসেন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল)। তাই এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।