ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ধর্ষণ করার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে দেওয়ার হুমকি, আত্মহত্যার চেষ্টা

এম কে আই জাবেদঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় এক সন্তানের মাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে ভুক্তভোগী নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে ভিকটিম নারী বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন।

উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের হাটাশ গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।

ধর্ষক জনি দেবনাথ (২৯) উপজেলার হাটাশ গ্রামের দুলাল দেবনাথের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর পূর্বে মুরাদনগর উপজেলার হাটাশ গ্রামের এক সন্তানের জননীর হবিগঞ্জ জেলার
ছোটানখোলা গ্রামের আজয় দেবনাথের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে জীবনে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রতিবেশী জনি দেবনাথ দীর্ঘদিন চেষ্টার পর ওই জননীর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পক গড়ে তুলেন এবং নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ও স্বামীর-স্ত্রী মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটনা ঘটান। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ করার পর থেকে জনি দেবনাথ বিয়ে করতে নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী রাতে ওই নারীকে জোরপূর্বক জনি দেবনাথের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে এবং বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বা এই ঘটনা অন্য কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে জনি দেবনাথ। পরে বিষয়টি ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারকে জানান এবং ঘটনাটি সামাজিকভাবে জানাজানি হলে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম নারী তার রুমে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১ মার্চ ভিকটিম নারী বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কুমিল্লা জেলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

ভিকটিম নারী মুঠোফোনে অভিযোগ করে জানান, এই ঘটনার পর থেকে আসামীর কর্তৃক তাদের পুরো পরিবার চরম হুমকির মুখে আছেন এবং সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে দিনযাপন করছেন। আদালতের মাধ্যমে এই ঘটনার তিনি ন্যায-বিচার প্রত্যাশা করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

মুরাদনগরে ধর্ষণ করার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে দেওয়ার হুমকি, আত্মহত্যার চেষ্টা

আপডেট সময় ১২:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

এম কে আই জাবেদঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় এক সন্তানের মাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে ভুক্তভোগী নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে ভিকটিম নারী বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন।

উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের হাটাশ গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।

ধর্ষক জনি দেবনাথ (২৯) উপজেলার হাটাশ গ্রামের দুলাল দেবনাথের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর পূর্বে মুরাদনগর উপজেলার হাটাশ গ্রামের এক সন্তানের জননীর হবিগঞ্জ জেলার
ছোটানখোলা গ্রামের আজয় দেবনাথের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে জীবনে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রতিবেশী জনি দেবনাথ দীর্ঘদিন চেষ্টার পর ওই জননীর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পক গড়ে তুলেন এবং নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ও স্বামীর-স্ত্রী মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটনা ঘটান। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ করার পর থেকে জনি দেবনাথ বিয়ে করতে নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী রাতে ওই নারীকে জোরপূর্বক জনি দেবনাথের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে এবং বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বা এই ঘটনা অন্য কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে জনি দেবনাথ। পরে বিষয়টি ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারকে জানান এবং ঘটনাটি সামাজিকভাবে জানাজানি হলে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম নারী তার রুমে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১ মার্চ ভিকটিম নারী বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কুমিল্লা জেলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

ভিকটিম নারী মুঠোফোনে অভিযোগ করে জানান, এই ঘটনার পর থেকে আসামীর কর্তৃক তাদের পুরো পরিবার চরম হুমকির মুখে আছেন এবং সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে দিনযাপন করছেন। আদালতের মাধ্যমে এই ঘটনার তিনি ন্যায-বিচার প্রত্যাশা করেন।