মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন রঘুরামপুর নবজাগরণ সমাজকল্যাণ সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত ” নবজাগরণ পাঠাগার ” উদ্বোধন করা হয়েছে।
(২২ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামে পাঠাগরটি উদ্বোধন করা হয়।
পাঠাগার পরিচালনা পর্ষদ এর পরিচালক মোঃ কামরুল হাসান মাষ্টার এর উপস্থাপনায়, সংগঠন এর সম্মানিত উপদেষ্টা মোঃ আব্দুল্লাহ আল সাদী এর সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমে প্রথম পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
তারপর পাঠাগার এর পক্ষ থেকে পাঠাগার পরিচালনা পর্ষদ এর সহ পরিচালক মোঃ মারুফ আহমেদ, মোঃআব্দল কাইয়ুম মজুমদার,মোঃ ওসমান গনী ভূইয়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখানে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং মূল্যবান বক্তব্য রাখেন সংগঠন এর প্রধান উপদেষ্টা মোঃ সামছুজ্জামান ভূইয়া, উপদেষ্টা মোঃ ইব্রাহীম খলিল ও আব্দুল্লাহ আল স্বপন মোল্লা, সংগঠন এর সহ সভাপতি মোঃ রাহিম সরকার ও মাসুক মিয়া, বদিউজ্জামাল ভূইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আরো অনেকে।
আরো উপস্থিত ছিলেন এবং প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে সর্বাধিক সহযোগিতা করেন নবজাগরণ পাঠাগার এর পরিচালনা পর্ষদ এর সকল সদস্য বৃন্দ।
আলোচনা অনুষ্ঠান এর পর দোয়া ও তাবারুক এর আয়োজন হয় এবং পরে ফিতা কেটে নবজাগরণ পাঠাগারের উদ্বোধন করেন সংগঠন এর প্রধান উপদেষ্টা মোঃ সামছুজ্জামান ভূইয়া ( সহকারী প্রধান শিক্ষক – হানিফ সরকার উচ্চ বিদ্যালয়, টনকী)। উদ্বোধনের পূর্বে নবজাগরণ পাঠাগারের সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে এ পাঠাগার ভূমিকা রাখবে। এবং গ্রামে শিক্ষার মান উন্নয়ন করার জন্য আহবান করেন।
অন্যান্য বক্তারা ও তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনে নবজাগরণ পাঠাগার প্রতিনিয়ত কাজ করবে । মাদকমুক্ত ও আলোকিত সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগারে বই পড়ার বিকল্প নেই। এবং পাঠাগার এর মাধ্যমে সকল শ্রেণি ও পেশার পাঠককে বই পাঠে আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা জানান পাঠাগারের প্রতিষ্ঠার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, রঘুরামপুর নবজাগরণ সমাজকল্যাণ সংগঠন এর সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের পরামর্শ পরিকল্পনায় সংগঠন এর প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতায় গ্রামের একঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ইতিপূর্বে অনেকগুলো প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে সংগঠন টি এবং সচেতন গ্রামবাসীদের প্রশংসা কুড়িয়ে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গ্রাম কে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দায়িত্বশীলরা।