আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় শালিসে মরিয়ম বেগম নামে এক নারী মানবাধিকার কর্মীকে ব্যাপক মারধর ও শ্লীলতাহানির আলোচিত ঘটনায় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার ৮নং আমলি আদালতের বিচারক মো: ওমর ফারুক জামিন আবেদ না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
দেলোয়ার হোসেন উপজেলার ১৫নং নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ত্রিশ গ্রামের মৃত. শাহ আলম মেম্বারের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম আবাদ বলেন, সালিশে এক ভুক্তভোগী নারীকে মারধর করে ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছাড়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়। এই ঘটনার পুলিশ রির্পোট আসা পর্যন্ত মেম্বার দেলোয়ার হোসেন জামিনে ছিলেন। পুলিশ রির্পোটে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায়, আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধ এবং গত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে গত ২৮জুন রাতে মুরাদনগর উপজেলার ত্রিশ গ্রামের নারী মানবাধিকার কর্মী এবং ইন্টার ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশনের কর্মী মরিয়ম বেগমকে লোক মারফত কোম্পানীগঞ্জ বাজারে ডেকে আনেন ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকানে শালিসে বসেন। এসময় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন তার দলবল ওই নারীকে শ্লীলতাহানি সহ ব্যাপক মারধর করেন। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষায় ওই নারী এদিক সেদিক ছোটাছুটি করলেও হামলাকারীরা তাকে দৌড়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন তার আসনে বসে এসব দৃশ্য উপভোগ করেন। মারধরের সময়ে ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।