এন এ মুরাদ, মুরাদনগর:
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রেমিকে পরিকল্পনায় কিটনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে স্বামীকে খুঁন করলো নববধূ। মেহেদির রঙ না শুকাতেই নববধুর হাতে প্রান দিতে হলো অনিক লাল দাস নামে ওই হিন্দু যুবককে। গ্রেফতারের পর ঘাতক নববধূ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অনিক লাল দাস (২৩) জেলার চান্দিনা উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মানিক লাল দাসের ছেলে। বুধবার দুপুরে নিহতের পিতা বাদী হয়ে নববধূ এবং তার পিতা ও পরকীয়রা প্রেমিককে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, জেলার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামের নরেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে একা রানী দাসের সাথে ২৫দিন আগে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় চান্দিনা উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মানিক লাল দাসের ছেলে অনিক লাল দাসের। কিন্তু একা রানী দাসের টিটু দাস নামে এক যুবকের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর থেকেই একা পরকীয়া প্রেমিক টিটু দাসের সাথে নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে আসছিল। এরই মধ্যে টিটু দাস এবং একা রানী দাস মিলে স্বামী অনিক লাল দাসকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে অভিনয় করে কৌশলে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের কথা বলে একা রানী তার স্বামীকে একটি কীটনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। পরে অনিক মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট শুরু করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাশর্^বর্তী রায়পুর হসপিটালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একা রানী দাস এবং তার পিতা নরেশ দাস পরকীয়া প্রেমিক টিটু দাসকে আসামী করে নিহতের পিতা মানিক লাল দাস থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর আলম বলেন, ঘাতক একা রানী দাস এবং পরকীয়া প্রেমিক টিটু দাস মিলে পরিকল্পিত ভাবেই অনিক দাসকে কিটনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার পরিকল্পনা এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।