মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষি প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রথম দিনেই পশুর হাটগুলোতে লোকে-লোকারণ্য, নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। দেখলেই চোখ আটকে যায়। হাজার হাজার মানুষের সমাগম। কারও মুখে নেই মাস্ক। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় চোখে পরার মতো। সাথে আছে উৎসুক জনতাও। শুক্রবার সারাদিন এমন দৃশ্য চোখে পরে উপজেলা সদরের বড় মাদ্রাসা মাঠের পশুর হাটে। বিধিনিষেধ শেষ না হওয়ার আগেই পশুর হাটের এমন অবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে ওই এলাকায়।
হাট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আছে কড়াকড়ি নজরদারি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে বিকিকিনির ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও, তা রয়ে গেছে কাগজ কলমে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি যেন ভুলে গেছেন সবাই।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার ছিলো মুরাদনগর উপজেলা সদরের বড় মাদ্রাসা মাঠে পশুর হাটের নির্ধারিত দিন। এ কারণে সকাল থেকেই স্থানীয় খামারি ও কৃষকরা তাদের পশু নিয়ে বাজারে আসেন। বেলা গড়িয়ে দুপুর হতেই কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। একটি পশু কিনতে বাজারে আসেন ৫-৬ জন। তারাও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বাজারে ঢুকে পশুর দরদাম করেন। বিকালের দিকে অনেকেই আবার দল বেঁধে পশু নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। বাজারের ভেতরে হাট কর্তৃপক্ষের হাসিল রয়েছে। এসব হাসিলে বসা ব্যক্তিদের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি। পশুর হাটের এই মানুষের সমাগম মূল বাজার পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটেছিল।
সদরের এই পশুর হাট নিয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি বাজারে হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি বাজার মনিটরিং করার জন্য একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। যদি কোন হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাহলে অবশ্যই সেই হাটের ইজারাদার আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। প্রতিটি হাট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে যেন প্রচারণা চালায়। তিনি এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবেন বলে জানান।