ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে পাঁচটি স্পটে বিক্রি হচ্ছে বাংলা মদ

আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে বিপুল পরিমান মদসহ পুনরায় আটক হয়েছে গনেশ। গত রবিবার রাতে ওই মদ ব্যবসায়ীকে তার নিজ বাড়ি থেকে জেলার মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. এমদাদুল্লাহর নেতৃত্বে ১৩ আনসার ব্যাটেলিয়নের একটি দল তাকে আটক করে। আটক গনেশ (৫৫) উপজেলার শিবানিপুর গ্রামের মৃত শ্যামল রবি দাসের ছেলে।

কুমিল্লা জেলার মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. এমদাদুল্লাহ বলেন, ১৩ আনসার ব্যাটেলিয়নের একটি দল নিয়ে গনেশের বাড়ি রেট দিয়ে পাঁচ গ্যালন মদসহ তাকে আটক করেছি। মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

স্থানীয়রা জানায়, গনেশ গত বিশ বছরে বহুবার আটক হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহির হাতে। সে আটক হলে পরিবারের কেউনা কেউ চুপেচাপে বিক্রি করে মদ। আবার গনেশ ছাড়া পেলে অপেনই বিক্রি চলে। এই স্পট থেকে দেবিদ্বার, নবীনগর ও ব্রা‏ক্ষণপাড়া উপজেলা থেকে মদ্যপায়ীরা এসে মদ পান করে।

তাছাড়াও মুরাদনগর উপজেলায় আরো চারটি স্পট রয়েছে মদের। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার রামচন্দ্রপুর বাজার এলাকায় রয়েছে তিনটি মদের স্পট। এই তিনটি স্পটের মালিকরা হচ্ছেন, প্রথমটি শুকলাল অপরটি জাপানী বাড়ি ও জগা বাড়ি। এই তিন স্পটে জেলার হোমনা, বাঞ্চারামপুর ও নবীনগর থানার একাংশের মদ্যপায়ীরা এসে মদ পান করেন।

উপজেলা সদরে থানার তিনশগজের মধ্যেই সরকারী হাইস্কুল ঘেঁষেই মুচি বাড়ি। তারা দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে নিজেদের জন্য মদ তৈরি করলেও বাহিরের লোকজনের কাছে মদ বিক্রি করছে দেদারছে। মদের গন্ধে মগম থাকে হাইস্কুলসহ আশপাশের এলাকা। নাক চেপে ধরে পথচারীরা আসা-যাওয়া করে। কিন্তু তার চেয়ে বড় বিষয় হলো পাশের ডি আর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুর্বিষহ গন্ধ নিয়ে শ্রেণীকক্ষে বসে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মদ্যপায়ী বলেন, ‘দিন শেষে বিকেলে মুরাদনগর মুচি বাড়ি থেকে ত্রিশটাকা দিয়ে একগ্লাস মদ খেলে ভালোই পিনিক (এক ধরণের অনুভূতি) হয়। এতো অল্প দামে এবং ঝামেলা ছাড়া আর কোন মাদক পাওয়া যায় না বর্তমানে। তাই বেশি না, ‘একগ্লাস’ হলেই আমার পিনিক চলে আসে।’

উপজেলার বি সার্কেল মো. জাহাংগীর আলম বলে, আমাদের অভিযান অব্যহত আছে। সুনিদিষ্ট কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মুরাদনগরে পাঁচটি স্পটে বিক্রি হচ্ছে বাংলা মদ

আপডেট সময় ০২:১৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮
আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে বিপুল পরিমান মদসহ পুনরায় আটক হয়েছে গনেশ। গত রবিবার রাতে ওই মদ ব্যবসায়ীকে তার নিজ বাড়ি থেকে জেলার মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. এমদাদুল্লাহর নেতৃত্বে ১৩ আনসার ব্যাটেলিয়নের একটি দল তাকে আটক করে। আটক গনেশ (৫৫) উপজেলার শিবানিপুর গ্রামের মৃত শ্যামল রবি দাসের ছেলে।

কুমিল্লা জেলার মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. এমদাদুল্লাহ বলেন, ১৩ আনসার ব্যাটেলিয়নের একটি দল নিয়ে গনেশের বাড়ি রেট দিয়ে পাঁচ গ্যালন মদসহ তাকে আটক করেছি। মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

স্থানীয়রা জানায়, গনেশ গত বিশ বছরে বহুবার আটক হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহির হাতে। সে আটক হলে পরিবারের কেউনা কেউ চুপেচাপে বিক্রি করে মদ। আবার গনেশ ছাড়া পেলে অপেনই বিক্রি চলে। এই স্পট থেকে দেবিদ্বার, নবীনগর ও ব্রা‏ক্ষণপাড়া উপজেলা থেকে মদ্যপায়ীরা এসে মদ পান করে।

তাছাড়াও মুরাদনগর উপজেলায় আরো চারটি স্পট রয়েছে মদের। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার রামচন্দ্রপুর বাজার এলাকায় রয়েছে তিনটি মদের স্পট। এই তিনটি স্পটের মালিকরা হচ্ছেন, প্রথমটি শুকলাল অপরটি জাপানী বাড়ি ও জগা বাড়ি। এই তিন স্পটে জেলার হোমনা, বাঞ্চারামপুর ও নবীনগর থানার একাংশের মদ্যপায়ীরা এসে মদ পান করেন।

উপজেলা সদরে থানার তিনশগজের মধ্যেই সরকারী হাইস্কুল ঘেঁষেই মুচি বাড়ি। তারা দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে নিজেদের জন্য মদ তৈরি করলেও বাহিরের লোকজনের কাছে মদ বিক্রি করছে দেদারছে। মদের গন্ধে মগম থাকে হাইস্কুলসহ আশপাশের এলাকা। নাক চেপে ধরে পথচারীরা আসা-যাওয়া করে। কিন্তু তার চেয়ে বড় বিষয় হলো পাশের ডি আর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুর্বিষহ গন্ধ নিয়ে শ্রেণীকক্ষে বসে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মদ্যপায়ী বলেন, ‘দিন শেষে বিকেলে মুরাদনগর মুচি বাড়ি থেকে ত্রিশটাকা দিয়ে একগ্লাস মদ খেলে ভালোই পিনিক (এক ধরণের অনুভূতি) হয়। এতো অল্প দামে এবং ঝামেলা ছাড়া আর কোন মাদক পাওয়া যায় না বর্তমানে। তাই বেশি না, ‘একগ্লাস’ হলেই আমার পিনিক চলে আসে।’

উপজেলার বি সার্কেল মো. জাহাংগীর আলম বলে, আমাদের অভিযান অব্যহত আছে। সুনিদিষ্ট কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।