ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে পিটিয়ে গৃহবধু হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

শাহিন আলমঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পালসুতা গ্রামে গৃহবধু শারমিন আক্তারকে পিটিয়ে ও নির্যাতন করে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় পালসুতা চৌমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের সৎ ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা জানান, শারমিন আক্তারের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।  নিহত শারমিন আক্তার (৩৫) পালাসুতা গ্রামের আবদুল বারেক সরকারের স্ত্রী। তার  জান্নাত নামে ৪ মাসের একটি মেয়ে ও জাহিদ হাসান নামে ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই বাড়ির নাজমুল আলম সাইম, আবদুল মালেক, শাকিল মিয়া, রাজিব মিয়া ও আবদুল মালেক সরকারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন নিহত শারমিন আক্তারের স্বামী আবদুল বারেক মিয়াকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করলে শারমিন আক্তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যান। পরে তারা শারমিন আক্তারকেও এলোপাতারি পিঠিয়ে মারাত্মক আহত করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা শারমিন আক্তার ও তার স্বামী আবদুল বারেক সরকারকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে আসলে আবদুল বারেক সরকারকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং নিহত শারমিন আক্তার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়িতে নিয়ে আসে।
বাড়িতে পুনরায় শারমিন আক্তার অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় এবং  কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারিরীক অবস্থা অবনতি দেখে দ্রুত  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরমর্শ দেন। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শারমিন আক্তার মারা যান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে পিটিয়ে গৃহবধু হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট সময় ০১:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯
শাহিন আলমঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পালসুতা গ্রামে গৃহবধু শারমিন আক্তারকে পিটিয়ে ও নির্যাতন করে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় পালসুতা চৌমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের সৎ ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা জানান, শারমিন আক্তারের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।  নিহত শারমিন আক্তার (৩৫) পালাসুতা গ্রামের আবদুল বারেক সরকারের স্ত্রী। তার  জান্নাত নামে ৪ মাসের একটি মেয়ে ও জাহিদ হাসান নামে ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই বাড়ির নাজমুল আলম সাইম, আবদুল মালেক, শাকিল মিয়া, রাজিব মিয়া ও আবদুল মালেক সরকারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন নিহত শারমিন আক্তারের স্বামী আবদুল বারেক মিয়াকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করলে শারমিন আক্তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যান। পরে তারা শারমিন আক্তারকেও এলোপাতারি পিঠিয়ে মারাত্মক আহত করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা শারমিন আক্তার ও তার স্বামী আবদুল বারেক সরকারকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে আসলে আবদুল বারেক সরকারকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং নিহত শারমিন আক্তার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়িতে নিয়ে আসে।
বাড়িতে পুনরায় শারমিন আক্তার অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় এবং  কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারিরীক অবস্থা অবনতি দেখে দ্রুত  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরমর্শ দেন। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শারমিন আক্তার মারা যান।