মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে পিতাকে না পেয়ে ২২ মাসের দুধের শিশু আব্দুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম(৪২) সহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। মূহুর্ষ অবস্থায় শিশুটি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। শিশুটিন মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগটি থানা পুলিশ আমলে নিয়েছেকিনা তা নিয়ে সন্দিহানে রয়েছেন পিতা শাহিন আলম। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে আটক না করায় ও মামলা নিয়ে পুলিশের নাটকিয়তায় স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ঠি হয়েছে। এমন জঘন্যতম কাজে জড়িতদের অভিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানান এলাকাবাসীর।
আহত শিশু উপজেলার গাজীপুর গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী শাহীন আলমের ছেলে ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নজরুল ইসলাম, শুভ ও সুমনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল রয়েছে। তারা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাদের এই দলটির বিভিন্ন সদস্যদের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানা, মুরাদনগর থানা সহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, চুরিসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। দলটির প্রধান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা চলমান রয়েছে।
আহত শিশুটির বাবা শাহিন আলম পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনায় ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি এবং আমার স্ত্রী রোজিনা থানায় যে অভিযোগ করেছে তা এখনও এফআর ভূক্ত হয়েছেকিনা আমি জানিনা। ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে মাদক ব্যবসায়ী আল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, শুভ ও সুমনসহ একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমি প্রাণভয়ে বিল্ডিংয়ের ভিতর লুকিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখি। সন্ত্রাসীরা আমাকে না পেয়ে গেইটের সামনে থাকা আমার ২২ মাসের দুধের শিশু আব্দুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, আল ইসলাম ও নজরুল বাহিনীর দ্বারা আমি আগেও হামলার শিকার হয়েছি। ১১ মাস আগে তারা আমাকে মারার জন্য হামলা করেন। নিশানা ঠিক রাখেতে পারেনি বলে আমি বেঁচে যাই। ওই ব্যাপারেও থানায় অভিযোগ আছে। তখন স্থানীয় মাতব্বররা এটি মিমাংশা করে দেন। এখন আবার আমাকে মারার জন্য ঘরে এসে আক্রমন করে। আমি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও আমার নিষ্পাপ দুধের শিশুটিকে কুপিয়ে মাথা ও চোখের উপরে হাড় বের করে রক্তাত্ব অবস্থায় ফেলে রাখে। এমন ন্যক্কারতম ঘটনায় যে নড়পশুরা জড়িত তাদের অবিলম্বে আটক করে সুষ্ঠ বিচারের দাবী করি।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন,‘‘শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা পলাতক। আটক অভিযান অব্যহত রয়েছে।