মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
০৮ মার্চ ২০১৫ ইং। (মুরাদনগর বার্তা ডটকম) :
মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের ভল্লবদী (দক্ষিন পাড়া) গ্রামে এক প্রতিবন্ধি যুবতী রিনা আক্ততারকে (১৫) জোর করে ধর্ষনের চেষ্টা ও শরীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানায় মামলা নিতে অস্বীকার করায় ভিকটিমের মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা করায় বাদীকে হয়রানি সহ প্রাননাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবন্ধি রিনা আক্তার (১৫) উপজেলার ভল্লবদী গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে।
ধর্ষক আমির হোসেন (৩৫) একই গ্রামের জিন্নত আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধি রিনা আক্তারকে আমির হোসেন বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত ৩ জানুয়ারী রোজ শনিবার সন্ধ্যায় রিনা আক্তারকে তার নিজ ঘরে একা পেয়ে আমির হোসেন তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নির্জনস্থানে মুখ বেধে ধর্ষনের চেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতন করে। সে সময় রিনা আক্তারের চিৎকারে তার মা নাছিমা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে চিৎকার শুরু করলে ধর্ষক আমির হোসেন তাকে মার-ধর কারে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত রিনা আক্তার কে উদ্ধার কওে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় ধর্ষক তার নিজ সন্তানদের লুকিয়ে রেখে ধর্ষিতার পরিবারের বিরুদ্ধে তার সন্তানদের অপহরন ও বাড়িতে চুরি অভিযোগে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে ধর্ষক আমির হোসেনের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার প্রতিবন্ধি রিনা আক্তারকে ধর্ষনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার এবং সন্তান অপহরন ও চুরির ঘটনাটি মিথ্যা এই মর্মে গত ৫ ফেব্রুয়ারী তিনি একটি হলফ নামা প্রদান করেন। তিনি তার সন্তান ও বাড়ির মালামাল নিয়ে পিতার বাড়িতে অবস্থান করছেন বলেও স্বীকার করেন।
নাছিমা বেগম জানান, রিনা আক্তারকে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সনদ পত্র নিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারী মুরাদনগর থানায় মামলা করতে চাইলে থানার ইনর্চাজ তাকে আদালতে মামলা করার জন্য বলেন। পরে তিনি বাদী হয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) খ/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও অভিযোগ করে জানান মামলার পর থেকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ও আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়,আমির হোসেনের বিরুদ্ধে মুরাদনগরসহ বেশ কয়েকটি থানায় ডাকাতি ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র বট্ট জানান, ধর্ষনের মামলাটি আদালতে হয়েছে এ বিষয়ে আমরা কোন নির্দেশ পাইনি। অপহরনের মামলাটি আদালত আমাদেরকে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করছি।