মো: নাজিম উদ্দিনঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এবং ওই ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষিতার বাবার নিকট টাকা দাবি করে ধর্ষকরা। এ ঘটনায় বুধবার সকালে ভিকটিম বাদী হয়ে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে সাতজনকে আসামি করে মামলা কররেন। পরে এক ধষর্কসহ ৪ জনকে প্রেফতার করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
বুধবার বিকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে (ধর্ষক) মোশাররফ হোসেন রনি(২৮), মৃত সাহেব আলীর ছেলে হারুন আর রশিদ(৫৫), আলফাজ আলী বেপারীর ছেলে মিজান কসাই(৫২) ও বেনীখলা গ্রামের মৃত মজির মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদিন(৫০)।
মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রবাসী কাউসার মিয়ার স্ত্রী(২০) কে গত ৬ই মে দুপুরে একই গ্রামের ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে মোশাররফ হোসেন রনি কৌশলে তার বন্ধু (পলাতক আসামী) সাগরের বাড়ীর দোতলার একটি কক্ষে নিয়ে তার ৩ বন্ধু সাগর, রবি ও আক্তার হোসেন মিলিত ভাবে প্রবাসীর স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে এবং ধর্ষনের ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারন করে।
ধর্ষকরা সেই গণধর্ষনের ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজ ধর্ষিতার প্রবাসী স্বামীর নিকট প্রেরন করে এবং বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। ধর্ষকদের অভিভাবকরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোস মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে ধর্ষিতার অভিভাবকের কাছ থেকে জোরপূবর্ক খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। গতকাল বুধবার সকালে ধষর্নের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী বাঙ্গরা বাজার থানায় ৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার সাথে সাথে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মনোয়ার হোসেন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১জন ধর্ষক এবং জোরপূর্বক ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে পলাতক ৩ধর্ষকের পিতাদের গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের বাবাকে চাপ সৃষ্টি করে জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।