ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান ও দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা পুলিশ!

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লাযর মুরাদনগর উপজেলায় জয়দল হোসেন নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী, দুই সন্তান ও প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন মেহেদী হাসান শিবলী নামে পুলিশের এক এএসআই। স্ত্রী-সন্তান ও কষ্টার্জিত অর্থসহ সর্বস্ব হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। 

গত বছরের ৯ মার্চ জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রবাসী জয়দল হোসেন বাঙ্গরা বাজার থানার বাঙ্গরা গ্রামের মঞ্জুর আলীর ছেলে। মেহেদী হাসান শিবলী ওই থানার এএসআই ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজিমিজি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীর দাখিল করা অভিযোগের তদন্ত করছে কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। সোমবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার সৈয়দ ম্যানশনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন প্রবাসী জয়দল হোসেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জয়দল হোসেন প্রায় ২৯ বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে বাঙ্গরা বাজার থানার অনন্তপুর গ্রামের তার মামা আবু জাহেরের মেয়ে শিল্পী আরা বেগম ওরফে মাহবুবা আক্তার শিল্পীকে বিয়ে করেন। তাদের জিশান ওরফে আদিল (১৪) ও ঈশান ওরফে আরাফ (১২) নামে দুই সন্তান রয়েছে, তারা ৯ম ও ৭ম শ্রেণির ছাত্র। এরই মধ্যে শিল্পী আরা বেগম বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই মেহেদী হাসান শিবলীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। 

জয়দল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি প্রবাস থেকে তার স্ত্রীর নামে টাকা পাঠাতেন। ওই টাকায় স্ত্রী নিজ নামে জায়গা-জমি ক্রয় করেন। এদিকে পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে জয়দল ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসেন। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যতা দেখা দেয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রী জায়গা-জমি অন্যত্র বিক্রি করে প্রায় দেড় কোটি টাকা ও দুই সন্তান নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ পরকীয়া প্রেমিক এএসআই মেহেদী হাসান শিবলীর সঙ্গে উধাও হয়ে যান। একই বছরের ২৫ মার্চ জয়দল হোসেনের নিকট তালাকনামা পাঠান। এ ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন জয়দল। এ নিয়ে বহু চেষ্টা করেও সুরাহা হয়নি। এ ঘটনায় তিনি তার স্ত্রী-সন্তান ফিরে পেতে এএসআই শিবলীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ করলে তা তদন্তাধীন রয়েছে। 

শিল্পী আরা বেগম বলেন, সে (জয়দল) আমাকে নির্যাতন করতো। তাই তার সংসার ছেড়ে সন্তান নিয়ে এখন বাবার বাড়িতে আছি। শিবলী খাগড়াছড়ি কর্মস্থলে আছে। আমাদের বিয়ে হয়েছে কি-না তা আপনাকে কেন বলবো? জয়দলের অভিযোগ মিথ্যা। এসব অভিযোগ মোকাবেলা করবো।’ 

এএসআই শিবলীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান ও দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা পুলিশ!

আপডেট সময় ০৫:০৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লাযর মুরাদনগর উপজেলায় জয়দল হোসেন নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী, দুই সন্তান ও প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন মেহেদী হাসান শিবলী নামে পুলিশের এক এএসআই। স্ত্রী-সন্তান ও কষ্টার্জিত অর্থসহ সর্বস্ব হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। 

গত বছরের ৯ মার্চ জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রবাসী জয়দল হোসেন বাঙ্গরা বাজার থানার বাঙ্গরা গ্রামের মঞ্জুর আলীর ছেলে। মেহেদী হাসান শিবলী ওই থানার এএসআই ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজিমিজি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীর দাখিল করা অভিযোগের তদন্ত করছে কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। সোমবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার সৈয়দ ম্যানশনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন প্রবাসী জয়দল হোসেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জয়দল হোসেন প্রায় ২৯ বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে বাঙ্গরা বাজার থানার অনন্তপুর গ্রামের তার মামা আবু জাহেরের মেয়ে শিল্পী আরা বেগম ওরফে মাহবুবা আক্তার শিল্পীকে বিয়ে করেন। তাদের জিশান ওরফে আদিল (১৪) ও ঈশান ওরফে আরাফ (১২) নামে দুই সন্তান রয়েছে, তারা ৯ম ও ৭ম শ্রেণির ছাত্র। এরই মধ্যে শিল্পী আরা বেগম বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই মেহেদী হাসান শিবলীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। 

জয়দল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি প্রবাস থেকে তার স্ত্রীর নামে টাকা পাঠাতেন। ওই টাকায় স্ত্রী নিজ নামে জায়গা-জমি ক্রয় করেন। এদিকে পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে জয়দল ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসেন। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যতা দেখা দেয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রী জায়গা-জমি অন্যত্র বিক্রি করে প্রায় দেড় কোটি টাকা ও দুই সন্তান নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ পরকীয়া প্রেমিক এএসআই মেহেদী হাসান শিবলীর সঙ্গে উধাও হয়ে যান। একই বছরের ২৫ মার্চ জয়দল হোসেনের নিকট তালাকনামা পাঠান। এ ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন জয়দল। এ নিয়ে বহু চেষ্টা করেও সুরাহা হয়নি। এ ঘটনায় তিনি তার স্ত্রী-সন্তান ফিরে পেতে এএসআই শিবলীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ করলে তা তদন্তাধীন রয়েছে। 

শিল্পী আরা বেগম বলেন, সে (জয়দল) আমাকে নির্যাতন করতো। তাই তার সংসার ছেড়ে সন্তান নিয়ে এখন বাবার বাড়িতে আছি। শিবলী খাগড়াছড়ি কর্মস্থলে আছে। আমাদের বিয়ে হয়েছে কি-না তা আপনাকে কেন বলবো? জয়দলের অভিযোগ মিথ্যা। এসব অভিযোগ মোকাবেলা করবো।’ 

এএসআই শিবলীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।