ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে সরকারি জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত

মাহবুব আলম আরিফঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর বাজারে প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে সরকারি খাস জমির ১শত বছরের পুরোনো রাস্তার উপরে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের বাধা প্রদানের পরেও প্রভাবশালী মহল কতৃক চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় এলাকাবাসীর মাঝে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আকুবপুর গ্রামের শাহিদুল, মাসুদ সহ ৫/৬ জনের একটি চক্র আকুবপুর বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন আকুবপুর মৌজার ৬৭৯দাগ নাম্বারের ১নং খাস খতিয়ানের সরকারি জায়গায় পুরনো চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কিছুদিন পূর্বে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করার মাধ্যমে দখলের সূচনা করেন। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে মুরাদনগর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান মেহেবুব ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে উক্ত স্থানে সাধারনের প্রবেশ নিষেধ জানিয়ে নোটিস লাগিয়ে দেন। এরপর থেকে সেখানে কাজ বন্ধ থাকলেও গত ১১ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে উক্তস্থানে সহকারী কমিশনারের নোটিস ছিরে ফেলে দিয়ে আবারো পুরোদমে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দখলদাররা।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের লাগানো নোটিস বোর্ড ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে খাস জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের ফলে দখলদারদের ক্ষমতা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।
ভোক্তভোগী সুমন চন্দ্র দাস বলেন, এটি অনেক পুরনো চলাচলের রাস্তা। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৫০টি পরিবারের লোকজন বাজারের আসেন। এখন এই রাস্তার উপরে দালান নির্মাণ করার কারনে আমরা ১ কিলোমিটার ঘুরে বাজারে যেতে হয়। প্রথম থেকেই আমরা এ বিষয়ে নায়েব (ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা) সাবরে জানাইছি ওনি আইছিলো কয়েকবার কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। আমরা গরিব মানুষ বেশি কথা কইলে মারতে আসে। প্রশাসনের কাছে একটাই আবেদন আমাদের ১শত বছরের পুরনো রাস্তা আমাদেরকে উদ্ধার করে দেন।

আকুবপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রাজীব মিত্রর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম দফায় কাজ বন্ধ করে দিয়ে ছিলাম, দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু করার পর আমি বাধা প্রদান করেছি কিন্তু তারা আমার কোন বাধা শোনেনি বরং উল্টো আমাকে গাল মন্দ করেছে। এ বিষয়ে আমার উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

এ ব্যাপারে নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, বিষয়টি আকুবপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে, তাকে লিখিত ভাবে জানাতে বলেছি। কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে সরকারি জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত

আপডেট সময় ১১:২৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৯
মাহবুব আলম আরিফঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর বাজারে প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে সরকারি খাস জমির ১শত বছরের পুরোনো রাস্তার উপরে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের বাধা প্রদানের পরেও প্রভাবশালী মহল কতৃক চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় এলাকাবাসীর মাঝে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আকুবপুর গ্রামের শাহিদুল, মাসুদ সহ ৫/৬ জনের একটি চক্র আকুবপুর বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন আকুবপুর মৌজার ৬৭৯দাগ নাম্বারের ১নং খাস খতিয়ানের সরকারি জায়গায় পুরনো চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কিছুদিন পূর্বে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করার মাধ্যমে দখলের সূচনা করেন। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে মুরাদনগর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান মেহেবুব ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে উক্ত স্থানে সাধারনের প্রবেশ নিষেধ জানিয়ে নোটিস লাগিয়ে দেন। এরপর থেকে সেখানে কাজ বন্ধ থাকলেও গত ১১ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে উক্তস্থানে সহকারী কমিশনারের নোটিস ছিরে ফেলে দিয়ে আবারো পুরোদমে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দখলদাররা।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের লাগানো নোটিস বোর্ড ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে খাস জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের ফলে দখলদারদের ক্ষমতা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।
ভোক্তভোগী সুমন চন্দ্র দাস বলেন, এটি অনেক পুরনো চলাচলের রাস্তা। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৫০টি পরিবারের লোকজন বাজারের আসেন। এখন এই রাস্তার উপরে দালান নির্মাণ করার কারনে আমরা ১ কিলোমিটার ঘুরে বাজারে যেতে হয়। প্রথম থেকেই আমরা এ বিষয়ে নায়েব (ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা) সাবরে জানাইছি ওনি আইছিলো কয়েকবার কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। আমরা গরিব মানুষ বেশি কথা কইলে মারতে আসে। প্রশাসনের কাছে একটাই আবেদন আমাদের ১শত বছরের পুরনো রাস্তা আমাদেরকে উদ্ধার করে দেন।

আকুবপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রাজীব মিত্রর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম দফায় কাজ বন্ধ করে দিয়ে ছিলাম, দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু করার পর আমি বাধা প্রদান করেছি কিন্তু তারা আমার কোন বাধা শোনেনি বরং উল্টো আমাকে গাল মন্দ করেছে। এ বিষয়ে আমার উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

এ ব্যাপারে নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, বিষয়টি আকুবপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে, তাকে লিখিত ভাবে জানাতে বলেছি। কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।