বেলাল উদ্দিন আহম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্রের পাশ থেকে প্রশ্ন ফাঁসকারী সিন্ডিকেটের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার বিকেলে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তার মোবাইলে সেটে প্রশ্ন ফাঁসকারী সিন্ডিকেট সদস্যদের অনেকের নাম, ছবি ও মোবাইল ফোন নম্বর রয়েছে। সচেতন মহল মনে করছে বিষয়টি উচ্চতর তদন্ত করলে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের সম্পর্কে অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে।
ভ্রম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যাক্তি খাইরুল ইসলাম(২১) উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে। সে এ বছর কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে সিভিলে ডিপ্লোমা পাশ করেছে।
মঙ্গলবার পদার্থ বিজ্ঞান পরিক্ষা আরম্ভ হওয়ার আধা ঘন্টা আগে দুটি স্যামসাং স্মার্ট মোবাইল ফোন সেট ও এর মধ্যে থাকা পরিক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরসহ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানিয় সুত্র জানা যায়, প্রশ্ন ফাঁসকারিদেরকে ধরতে উপজেলা প্রশাসন গত এক সপ্তাহ যাবৎ বেশ তৎপর ছিল। এর ই জেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম গোপন সংবাদের ভিক্তিতে মঙ্গলবার সকালে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: রায়হান মেহবুবকে ছাত্র সাজিয়ে উপজেলার রামচন্দ্রপুর রামকান্ত স্কুলের এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্রের আশে পাশে পাঠিয়ে নিজেও আসেন। রামচন্দ্রপুর রামকান্ত স্কুলের শহীদ মিনারের মাঠে প্রশ্ন ও উত্তর বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উভয়ই ঘটনা স্থলে এসে হাতে নাতে দু’টি স্যামসাং মোবাইল ফোন সেট সহ খাইরুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিতু মরিয়ম এর ভ্রাম্যমান আদালতে তার অপরাধ স্বীকার করায় মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে পাবলিক পরিক্ষা সমূহ অপরাধ আইন ১৯৮০ সালের ৯এর খ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এ সময় তাকে সহায়তা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি মো: রায়হান মেহবুব, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার এস আই রিদওয়ানুল হক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিতু মরিয়ম বলেন, গ্রেফতার কৃত খাইরুলের জব্দকরা মোবাইলে প্রশ্ন ফাঁসকারী অনেকের ফোন নাম্বার ও ছবি রয়েছে।অপরাধ স্বীকার করায় তাকে দু’বছর স¯্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।