মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৮ প্রদান উপলক্ষে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় ৯টি ক্যাটাগরিতে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে কৃতিত্ব ও বিশেষ অবদানে রাখার জন্য শ্রেষ্ঠদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলা পর্যাযে বাছাই কমিটির সভায় নির্বাাচিতদের তালিকা উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রকাশ করে। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা জেলা পর্যায়ে বাছাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় নির্বাচিতরা হলেন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে টনকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজীউল হক চৌধুরী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হিসেবে নবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাছুমা আক্তার, শ্রেষ্ঠ স্কুল হিসেবে বাঙ্গরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ এস.এম.সি হিসেবে মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্থ সারথি দত্ত, শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজ কর্মী হিসেবে মুকলেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবু বক্কর সিদ্দিক, শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক হিসেবে দিলালপুর স্কুলের সহকারি শিক্ষক শারমিন ফাতেমা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে জান্নাতুল খুল্দ, শ্রেষ্ঠ কর্মচারী হিসেবে উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী আবু ফাহাদ মোহাম্মদ রাইস-উল-হক ও ঝরে পড়া হার উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে কমাতে সক্ষম হওয়া স্কুল হিসেবে মকলেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা পর্যায়ে বাছাইকালে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাাহী অফিসার মিতু মরিয়ম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পারভিন আক্তার, উপজেলা ইউআরসি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন মৃধা, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হক শিকদার, তুহিন কান্দি দাস, ছায়মা সাভরিন, উপজেলা স্কাউটসের সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ, মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন প্রমূখ।
গাজীউল হক চৌধুরী, মাছুমা আক্তার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক শিক্ষিকাসহ সকল ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন কারিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখা। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের আন্তরিকভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাাচিত সকলেই প্রাথমিক শিক্ষায় দক্ষ লোক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে তাদের উপস্থিতি প্রসংশনীয়।