ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রেমের বিচ্ছেদে প্রমিকের আত্মহত্যা

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ভালোবেসে বিয়ের ৪ দিনের মাথায় প্রেমিকার বিচ্ছেদে প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হবিউল্লাহ (২০) দিঘীরপাড় গ্রামের ইয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে দিঘিরপাড় গ্রামের ইয়ার হোসেনের ছেলে হবিউল্লার সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির জসিম মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাদের সম্পর্কের কথা জেনে গেলে সোমবার (২৩ অক্টোবর) কাউকে না জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে এ বিষয়ে মেয়ের বাবা জসিম মিয়া মুরাদনগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ের সম্পর্ক মেনে নেয়ার আশ্বাস পেয়ে তারা দুজনেই ছেলের বাড়িতে চলে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই রাতেই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এস আই ওমর মেয়েটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
মেয়েকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পূর্বের দেয়া কথা না রেখে ছেলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে উল্টো তার পরিবারকে হুমকি দেয়া হয় কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখতে।
প্রেমিক হবিউল্লাহ এই মানসিক চাপ ও অপমান সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার বিকেলে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, খবর পেয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হবে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে প্রেমের বিচ্ছেদে প্রমিকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ভালোবেসে বিয়ের ৪ দিনের মাথায় প্রেমিকার বিচ্ছেদে প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হবিউল্লাহ (২০) দিঘীরপাড় গ্রামের ইয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে দিঘিরপাড় গ্রামের ইয়ার হোসেনের ছেলে হবিউল্লার সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির জসিম মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাদের সম্পর্কের কথা জেনে গেলে সোমবার (২৩ অক্টোবর) কাউকে না জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে এ বিষয়ে মেয়ের বাবা জসিম মিয়া মুরাদনগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ের সম্পর্ক মেনে নেয়ার আশ্বাস পেয়ে তারা দুজনেই ছেলের বাড়িতে চলে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই রাতেই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এস আই ওমর মেয়েটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
মেয়েকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পূর্বের দেয়া কথা না রেখে ছেলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে উল্টো তার পরিবারকে হুমকি দেয়া হয় কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখতে।
প্রেমিক হবিউল্লাহ এই মানসিক চাপ ও অপমান সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার বিকেলে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, খবর পেয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হবে।