মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে একদল বখাটেদের হামলায় উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা হেলাল মিয়ার(২৬) রবিবার সকালে চিকিৎসাধনি অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জাড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার দুপুরে দুইজন কে আটক করে পুলিশ। এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত নিহত হেলালের মা আয়শা বেগম বাদি হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাযায়।
নিহত শ্রমিকলীগ নেতা হেলাল মিয়া উপজেলার সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।
আটককৃতরা হলো, উপজেলা সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সোহেল(২০) ও জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নিজাম(২২)।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন সকালে মুরাদনগর উপজেলার উত্তর পাড়ায় স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবকের মাঝে নারী সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় হেলাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়কে মধ্যস্থতার করার চেষ্টা করলে, এক পর্যায়ে উত্তেজিত বখাটে যুবকেরা উল্টো হেলালকেই বেধড়ক লাঠিপিটা করে। লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই হেলাল জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। চিকিৎসা দিন হেলালের অবস্থার অবনতির ঘটনা ঘটলে চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে তাকে প্রেরন করে। কিছু দিন সেখানে চিকিৎসা দেয়ার পর হেলালের অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে গতকাল রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে রবিবার সকালে ঢাকা নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত হেলাল মিয়ার মা আয়শা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ঝগড়া মিটাতে গিয়ে জীবন দিছে। আমি থানায় যাচ্ছি মামলা করার জন্য। আমার ছেলের হত্যা কারীদের বিচার চাই।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, ঘঁনাটি শুনেই আমরা নিহতের বাড়িতে যাই। এবং হেলাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের ভাষ্য মতে ও প্রথমিক তদন্তে জানলাম মারপিটের পর চিকিৎসাদিন অবস্থায় হেলাল মারাগেছে।
বিষয়টি আরো গভির ভাবে খতিয়ে দেখবে পুলিশ। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এবং জিজ্ঞাসা বাদের জন্য দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।