মো. নাজিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় বসতবাড়ী করতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট ও এলাকায় আতংক সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বাড়িতে থাকা নারী সদস্যদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
রবিবার (১৯শে মে) দুপুরে উপজেলার আকুবপুর গ্রামের মৃত প্রফুল্ল সূত্রধরের বাড়িতে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দু’পক্ষই বাঙ্গরা বাজার থানায় পাল্টা-পাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আকুবপুর গ্রামের মৃত প্রফুল্ল সূত্রধরের দুই ছেলে প্রদীপ সূত্রধর (৪০) ও বিশ্বজিৎ সূত্রধরের (৪৪) এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। বিশ্বজিৎ সূত্রধর দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। কয়েকমাস পূর্বে এলাকায় এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছোট ভাইয়ের ঘরে আশ্রয় নেন।
রবিবার দুপুরে বিশ্বজিৎ সূত্রধর বসতবাড়ীটি দখলের উদ্দেশ্যে ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রদীপ সূত্রধর ও তার ছোট ভাইদের বসতবাড়িতে হামলা করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেয়াসহ শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
প্রদীপ স‚ত্রধরের স্ত্রী প‚র্নিমা রানী স‚ত্রধর বলেন, আমার স্বামীর বড় ভাই বিশ্বজিৎ স‚ত্রধর পূর্বেও একাধিকবার আমাদের উপর হামলা করেছে। রবিবার তিনি একই বিষয় নিয়ে বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমরা মোবাইলে ভিডিও করতে গেলে একদল সন্ত্রাসী আমার উপর চড়াও হয়ে আমাকে কিল, ঘুষি মেরে নীলা ফুলা জখম করে। টানা হেচরা করে আমার শরীরের শাড়ীকাপড় বøাউজ ছিড়ে ফেলে লাকি রানী সূত্রধর ও অনিমা সূত্রধরের শ্লীলতাহানী করে। আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয় তারা। আমরা তাদের কঠিন বিচারের দাবি জানাই।
প্রদীপ সূত্রধর বলেন, বাবা মৃত্যুর আগে এলাকাবাসীর সামনে ভাইয়ের ভাগের জায়গা আমি কিনে নিয়েছি। আমি অনেক কষ্ট করে টাকা দিয়েছি। দুই ধাপে এই জায়গা আমাকে দেয়। এখন তিনি সব অস্বীকার করে আমার জায়গা দখল করার পায়তারা করছে। কিছুদিন পর পর সে ভাড়া করে সন্ত্রাসী এনে আমাদের উপর অত্যাচার করে আসছে। থানায় অভিযোগ করার পরেও এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।
অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ স‚ত্রধর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি কোন সন্ত্রাসী হামলা করেন নি। উল্টো তার উপর নির্যাতন করা হয়েছে। তার স্ত্রী ও সন্তানকে ও ছাড় দেয়া হয়নি। স্ত্রীর স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে তার ঘরে তালা মারা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন খান বলেন প্রফুল্ল দা জীবিত থাকতে বিশ্বজিৎ তার ছোট ভাই প্রদীপের কাছে তার অংশটুকু বিক্রি করেছিলো। তখন আমি নিজের হাতে বিশ্বজিৎ এর হাতে টাকা দিয়েছি। সে এখন তার সম্পত্তির ভাগ চায় কিভাবে!
এবিষয়ে বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সফিউল আলম জানান আমরা দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।