এন এ মুরাদঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ফারহানা বাসে পেট্রোল ছিটিয়ে বাসের মালিক হত্যা চেষ্টা মামলার মূল আসামিরা এখনো অধরা। মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ।
জানা যায়, গত ৩ জুন রাতে বাখরনগর শালবনের পাশে গাড়ি পার্কিং করে ঘুমিয়ে ছিলেন বাসের মালিক আবুল কাশেম। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা মালিককে হত্যা করতে পেট্রোল ঢেলে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মূহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং গাড়ি থেকে আবুল কাশেমকে উদ্ধার করেন। এসময় গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা আবুল কাশেমের শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুণে জ্বলছে যায়।
উক্ত ঘটনায় আবুল কাশেম বাদী হয়ে গত ১৪ জুন মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন- বাখরনগর গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৫০), ফুল মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া (৩৫) ও নুরু মিয়ার ছেলে সিয়াম (১৯)। অজ্ঞাত আসামী ১২/১৫ জন।
মামলার ৩ নাম্বার আসামি সিয়াম (১৯)
অন্য একটি মামলায় বাঙ্গরা বাজার থানায় আটক হলে সেখানে পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে গাড়ি পোড়ানোর কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে গাড়ি পুড়ানো ও হত্যা চেষ্টা মামলায় তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আসামীর স্বীকার উক্তি অনুযায়ী মূল আসামীদের চিহ্নিত করা হলেও তারা এখনো আটক হয়নি।
গাড়ি পোড়ানোর ঘটনার বিচার পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন গাড়ীর মালিক ও মামলার বাদী আবুল কাশেম।
এদিকে (১৪ জুলাই) সোমবার সকালে অপরাধীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বাসের মালিক ও মামলার বাদী আবুল কাশেম বলেন, ” আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি , আসামীরা বাহিরে থাকায় মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে। বাস পুড়িয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
মামলার আইও এসআই মইন আসামীদের থেকে সুবিধা নিয়ে তাকে অসহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ করেন বাদী আবুল কাশেম।
তিনি আরো বলেন, মূল আসামীরা আটক না হওয়ায় আমি চিন্তিত। সবসময় প্রাণনাশের ভয়ে থাকতে হয়। এরা যেকোনো সময় আমার পরিবারের উপর হামলা করে মেরে ফেলতে পারে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বাখরনগর গ্রামের মেম্বার জালাল উদ্দিন, ফারহানা ট্রান্সপোর্টের কেরানী আবুল খায়ের, , স্হানীয় জামাল মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও মাওলানা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।