মো; হাববিুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা দীনেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক স্বার্থ সিদ্ধির কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও যোগদান করতে পারছে না ৪ হতভাগা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী গ্রন্থাগারিক ও নিম্নন সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শূন্য পদে লোক নিয়োগের জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি-১৭ দরখাস্ত আহবান করা হয়। এতে প্রধান শিক্ষক পদে ১০ জন, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৫ জন, সহকারী গ্রন্থাগারিক ও নি¤œমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ৪ জন করে মোট ২৩ প্রার্থী গত ১০ মে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এতে স্বচ্ছতার সহিত সকল নিয়ম মেনে প্রধান শিক্ষক পদে ওই স্কুলেরই সহকারী শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে হাবিবুর রহমান, সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে হাবিবুর রহমান ও নি¤œমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে সফিকুল ইসলামকে প্রথম হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যের সমর্থনে স্বাক্ষরিত হওয়ার পরও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সঞ্জিত কুমার দাশ গুপ্ত (বলাই বাবু) ফলাফল বিবরণীতে স্বাক্ষর না করে কালক্ষেপন করতে থাকে। ফলে তার স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক স্বার্থ সিদ্ধির কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও তারা তাদের কাঙ্খিত পদে যোগদান করতে পারছে না। নির্বাচিত প্রার্থীরা নিয়োগ পাবে কি, পাবে না এ নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিভাবকসহ সর্বমহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক পদে নির্বাচিত ওয়াহিদুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায়ও আমি প্রার্থী ছিলাম। ওই সময় কমিটির অন্যান্য সদস্যদের বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ করে সভাপতি সঞ্জিত কুমার দাশ গুপ্ত (বলাই বাবু) মনগড়া মতো একজনকে নিয়োগ দেয়। এর জের ধরে তৎকালীন কমিটির সদস্য আক্তার হোসেন বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে মামলা করলে দীর্ঘদিন চলার পর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মামলাটি মিমাংসা করে দেয়।
বিষয়টির ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সঞ্জিত কুমার দাশ গুপ্ত (বলাই বাবু) বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক ভাবে হয়নি, অবৈধ ভাবে হয়েছে। আমি এতে আপত্বি দিয়েছি। আমার স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক স্বার্থ সিদ্ধির প্রশ্নই ওঠে না।