ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে বৃত্তশালী পরীবার পেল আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর!

মো. হাবিবুর রহমানঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ঘোড়াশাল গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বৃত্তশালী মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়াকে দিয়েছে ‘জমি আছে ঘর নেই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি ঘর দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ঘোড়াশাল গ্রামের মৃত বজলু মিয়ার ছেলে মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়ার আধাপাকা বারান্দাসহ একটি চৌচালা ঘর, পাশে একটি একচালা রান্নাঘর, গোড়াপাকা টিউবওয়েলসহ গোসলখানা, বাড়ির পূর্ব পাশে একটি আধাপাকা দোচালা মুদি ও ষ্টেশনারী দোকান ঘর রয়েছে। দোকানে রয়েছে রঙ্গিন টিভি ও ফ্রিজ। এছাড়াও মাঠে রয়েছে কিছু ফসলি জমি। বছর দেড়েক আগে তার এক ছেলে আব্দুল্লাহকে সউদী আরব পাঠিয়েছে। অথচ ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তাকেই দিয়েছে ‘জমি আছে ঘর নেই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি সরকারি ঘর। দোকান বাকীর ২০ হাজার ও নগদ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এ ঘর মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়া পেয়েছে বলে বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, উক্ত গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার থাকার কোন ঘর না থাকায় বেরীবাঁধের ভিতরে অহিদ মিয়ার বাড়িতে কোন রকমে জীবনযাপন করছে। একই গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে কালা মিয়াও ঘোড়াশাল বাজারের একটি দোকানে ছেলে মেয়ে নিয়ে মানবেতর বসবাস করছে। এ ধরনের গরীব অসহায় পরিবার গুলোকে সরকারি ঘর না দিয়ে বৃত্তশালীকে ঘর দেওয়ায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিষয়টির ব্যাপারে মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়া জানান, আমি আমার ভাইয়ের ঘরে থাকি। মেম্বারকে অনুরোধ করায় ঘরটি আমাকে দিয়েছে। ঘরের বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা দিতে হয় নাই। এক ছেলে বিদেশ পাঠালেও কিছুদিন পর সে দেশে চলে এসেছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি ঘর দেওয়ার মালিক না, আমি নাম দিয়েছি। অফিসাররা মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়ার নাম বাছাই করেছে।
এ ব্যাপারে আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে বৃত্তশালী পরীবার পেল আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর!

আপডেট সময় ১১:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০১৯
মো. হাবিবুর রহমানঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ঘোড়াশাল গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বৃত্তশালী মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়াকে দিয়েছে ‘জমি আছে ঘর নেই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি ঘর দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ঘোড়াশাল গ্রামের মৃত বজলু মিয়ার ছেলে মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়ার আধাপাকা বারান্দাসহ একটি চৌচালা ঘর, পাশে একটি একচালা রান্নাঘর, গোড়াপাকা টিউবওয়েলসহ গোসলখানা, বাড়ির পূর্ব পাশে একটি আধাপাকা দোচালা মুদি ও ষ্টেশনারী দোকান ঘর রয়েছে। দোকানে রয়েছে রঙ্গিন টিভি ও ফ্রিজ। এছাড়াও মাঠে রয়েছে কিছু ফসলি জমি। বছর দেড়েক আগে তার এক ছেলে আব্দুল্লাহকে সউদী আরব পাঠিয়েছে। অথচ ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তাকেই দিয়েছে ‘জমি আছে ঘর নেই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি সরকারি ঘর। দোকান বাকীর ২০ হাজার ও নগদ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এ ঘর মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়া পেয়েছে বলে বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, উক্ত গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার থাকার কোন ঘর না থাকায় বেরীবাঁধের ভিতরে অহিদ মিয়ার বাড়িতে কোন রকমে জীবনযাপন করছে। একই গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে কালা মিয়াও ঘোড়াশাল বাজারের একটি দোকানে ছেলে মেয়ে নিয়ে মানবেতর বসবাস করছে। এ ধরনের গরীব অসহায় পরিবার গুলোকে সরকারি ঘর না দিয়ে বৃত্তশালীকে ঘর দেওয়ায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিষয়টির ব্যাপারে মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়া জানান, আমি আমার ভাইয়ের ঘরে থাকি। মেম্বারকে অনুরোধ করায় ঘরটি আমাকে দিয়েছে। ঘরের বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা দিতে হয় নাই। এক ছেলে বিদেশ পাঠালেও কিছুদিন পর সে দেশে চলে এসেছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি ঘর দেওয়ার মালিক না, আমি নাম দিয়েছি। অফিসাররা মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়ার নাম বাছাই করেছে।
এ ব্যাপারে আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।