ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর করে যুবলীগ নেতার অর্থ আদায়

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে জামাল হোসেন (৩৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগ নেতা নিরব খাঁন রাব্বির বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী জামাল হোসেন শনিবার রাতে যুবলীগ নেতা রাব্বিসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

নিরব খাঁন রাব্বি উপজেলার ধামঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও নহল গ্রামের আবুল হাসেম ক্যাশিয়ারের ছেলে।
জামাল হোসেন জানান, গত এক বছর পূর্বে তার বাড়ীর মালিক তাছলিমা আক্তারের কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ায় গত ১৪ জুলাই রাব্বি ও তার সঙ্গী কেরী বাবু তার ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধর করে। পরে তার স্ত্রীকে ফোনে গাল মন্দ করে ডেকে নিয়ে ১০ হাজার টাকা আদায় করে এবং ৬৫ হাজার টাকার একটি লিখিত ট্যাম্প রাখে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে এ বিষয়ে যদি কাউকে কিছু বলা হয় তাহলে সে ওই ব্যবসায়ী কে প্রাণে মেরে ফেলবে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রাব্বি বলেন, আমি কাউকে কোন মারধর করিনি। তাছলিমা আমার চাচি জামাল তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে দীর্ঘদিন ঘুড়াচ্ছে। মূলত সে দিন টাকা দিতে না পারায় জামালের স্ত্রী নিজে থেকে লিখিত কাগজ দিয়ে গেছে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগরে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর করে যুবলীগ নেতার অর্থ আদায়

আপডেট সময় ০৩:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে জামাল হোসেন (৩৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগ নেতা নিরব খাঁন রাব্বির বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী জামাল হোসেন শনিবার রাতে যুবলীগ নেতা রাব্বিসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

নিরব খাঁন রাব্বি উপজেলার ধামঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও নহল গ্রামের আবুল হাসেম ক্যাশিয়ারের ছেলে।
জামাল হোসেন জানান, গত এক বছর পূর্বে তার বাড়ীর মালিক তাছলিমা আক্তারের কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ায় গত ১৪ জুলাই রাব্বি ও তার সঙ্গী কেরী বাবু তার ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধর করে। পরে তার স্ত্রীকে ফোনে গাল মন্দ করে ডেকে নিয়ে ১০ হাজার টাকা আদায় করে এবং ৬৫ হাজার টাকার একটি লিখিত ট্যাম্প রাখে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে এ বিষয়ে যদি কাউকে কিছু বলা হয় তাহলে সে ওই ব্যবসায়ী কে প্রাণে মেরে ফেলবে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রাব্বি বলেন, আমি কাউকে কোন মারধর করিনি। তাছলিমা আমার চাচি জামাল তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে দীর্ঘদিন ঘুড়াচ্ছে। মূলত সে দিন টাকা দিতে না পারায় জামালের স্ত্রী নিজে থেকে লিখিত কাগজ দিয়ে গেছে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।