ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ব্যবসায়ী তাজুল হত্যাকান্ড ঘাতকরা এখনো ধরা পড়েনি, সন্দেহভাজনরা পালাতক

আবুল খায়ের, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম হত্যাকান্ডে জড়িত ঘাতকরা এখনো ধরা পড়েনি। আলোচিত এ ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত খুনি শনাক্ত করা যায়নি। এ নিয়ে এলাকার ব্যবসায়ী ও স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্বজনদের অভিযোগ ব্যবসায়িক বিরোধকে কেন্দ্র করে তাজুলকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তাজুল ইসলাম উপজেলার হায়দরাবাদ এলাকার বাসিন্দা। এ দিকে পুলিশ জানায় ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের পর সন্ধিগ্ধ বেশ কয়েকজন নজর দারীতে রেখে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত খুনি এখনো অধরা রয়ে গেছে।

মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার হায়দরাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বেশ কিছু এজেন্ট নিয়োগ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান চাউল ক্রয়-বিক্রয়ের পাইকারী ব্যবসা করতো। ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে একই উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন, ইব্রাহিম, মাইন উদ্দিন, সোহেল মিয়া, সালাউদ্দিন, বুদ্দু মিয়া, আল আমিন, ফুল মিয়া, ও আবুল খায়েরের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৪ জানুয়ারী তাজুল ব্যবসায়িক কাজে বাড়ী থেকে বের হয়। রাতে বাড়ী না ফেরায় ছেলেসহ স্বজনরা অনেক খুঁজাখোঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ১৫ জানুয়ারী সকালে সোনারামপুর গ্রামে তার লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ওইদিন রাতেই তাজুলের ছেলে বশির আলম ভূইয়া বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এতে তার বাবার ব্যবসায়িক ওই এজেন্টগনের নাম সন্দেহভাজন হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কিন্তু ঘটনার ১৫দিন পেরিয়ে গেলেও খুনি সনাক্ত করতে পারেনি। তবে সন্ধিগ্ধ কয়েকজন নজরদারিতে রেখে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিবন চন্দ্র ।

এ দিকে প্রকাশ্য বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও জড়িতরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীসহ স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবিলম্বে খুনি সনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর। নিহতের ছেলে এবং মামলার বাদী বশির আলম বলেন, আমার বাবাকে তুলে নিয়ে সোনারামপুর গ্রামে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। ব্যবসায়িক বিরোধ নিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সন্ধিগ্ধদের ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া রহস্য উদঘাটনে প্রযুক্তির ব্যবহারও করা হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ব্যবসায়ী তাজুল হত্যাকান্ড ঘাতকরা এখনো ধরা পড়েনি, সন্দেহভাজনরা পালাতক

আপডেট সময় ০২:২৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জানুয়ারী ২০১৯
আবুল খায়ের, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম হত্যাকান্ডে জড়িত ঘাতকরা এখনো ধরা পড়েনি। আলোচিত এ ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত খুনি শনাক্ত করা যায়নি। এ নিয়ে এলাকার ব্যবসায়ী ও স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্বজনদের অভিযোগ ব্যবসায়িক বিরোধকে কেন্দ্র করে তাজুলকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তাজুল ইসলাম উপজেলার হায়দরাবাদ এলাকার বাসিন্দা। এ দিকে পুলিশ জানায় ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের পর সন্ধিগ্ধ বেশ কয়েকজন নজর দারীতে রেখে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত খুনি এখনো অধরা রয়ে গেছে।

মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার হায়দরাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বেশ কিছু এজেন্ট নিয়োগ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান চাউল ক্রয়-বিক্রয়ের পাইকারী ব্যবসা করতো। ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে একই উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন, ইব্রাহিম, মাইন উদ্দিন, সোহেল মিয়া, সালাউদ্দিন, বুদ্দু মিয়া, আল আমিন, ফুল মিয়া, ও আবুল খায়েরের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৪ জানুয়ারী তাজুল ব্যবসায়িক কাজে বাড়ী থেকে বের হয়। রাতে বাড়ী না ফেরায় ছেলেসহ স্বজনরা অনেক খুঁজাখোঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ১৫ জানুয়ারী সকালে সোনারামপুর গ্রামে তার লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ওইদিন রাতেই তাজুলের ছেলে বশির আলম ভূইয়া বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এতে তার বাবার ব্যবসায়িক ওই এজেন্টগনের নাম সন্দেহভাজন হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কিন্তু ঘটনার ১৫দিন পেরিয়ে গেলেও খুনি সনাক্ত করতে পারেনি। তবে সন্ধিগ্ধ কয়েকজন নজরদারিতে রেখে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিবন চন্দ্র ।

এ দিকে প্রকাশ্য বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও জড়িতরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীসহ স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবিলম্বে খুনি সনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর। নিহতের ছেলে এবং মামলার বাদী বশির আলম বলেন, আমার বাবাকে তুলে নিয়ে সোনারামপুর গ্রামে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। ব্যবসায়িক বিরোধ নিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সন্ধিগ্ধদের ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া রহস্য উদঘাটনে প্রযুক্তির ব্যবহারও করা হচ্ছে।