সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি সহ এক জমি বড় ভাইয়ের কাছে বিক্রয় করার পর তা ফের অনত্রে বিক্রির অভিযোগ উটেছে মোখলেসুর রহমান নামে আপন ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকোট ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গনিপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল হামিদের তিন ছেলের মধ্যে মোখলেসুর রহমান সবার ছোট। মৃত্যুর আগে আব্দুল হামিদ তিন ছেলের মাঝে তার সম্পদের সুষম বন্টন করলেও এ সম্পদ বর্তমানে হয়ে উটেছে ভাইদের মধ্যে ঝগড়া ও রেষারেষির প্রধান কারন। এলাকাবাসী জানায়, মোখলেসুর রহমান দীর্ঘদিন ঢাকা থাকার সুবাদে সেখানে কিনেছেন বাড়ি ও গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর এসব বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে টাকার প্রয়োজন হলে বড় ভাই আব্দুল মতিন ও মিজানুর রহমানের কাছে বিক্রি করে দেন তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জায়গা ও এলাকায় কেনা তার জমি। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে এলাকার একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে বিক্রয় করা জায়গা ফের দখল করতে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়াও ১৬ শতকের একটি জমি বড় ভাই আব্দুল মতিনের কাছে বিক্রি করার পর রেজিস্ট্র না দিয়ে তা অন্যত্রে বিক্রি করে দেন ।
তাদের প্রতিবেশী মৃত. সামির উদ্দিনের ছেলে নূরআলম জানান, এ বিষয়গুলো নিয়ে এলাকায় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়েছিল। মোখলেসুর রহমান সালিশে তার ভাইয়ের কাছে বিক্রয়কৃত জমি বুঝিয়ে দিবেন বললেও পরে আর বুঝিয়ে দেন না। মোখলেসুর রহমানের মা মিনুয়ারা বেগম বলেন, সে তার প্রাপ্য অংশটুকু দুই ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০০৬ সালে মোখলেসের শেষ সম্বল ১৬শতক জমি বিক্রি করে দেয় আব্দুল মতিনের কাছে। কয়েকমাস পর মোকলেসকে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে আব্দুল মতিন তখন থেকেই মোখলেস দেম দিচ্ছি বলে বছরের পর বছর টালবাহানা করে আসছে। সর্বশেষ মোখলেস একই জমি ২০১৯সালে বিক্রে করে দেন অনত্রে। তখন থেকেই আব্দুল মতিন জমি বাবদ দেওয়া টাকা কাছে ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি সহ প্রণনাশের হুমকি দিচ্ছেন মোখলেস।
এ বিষয়ে বড় ভাই আব্দুল মতিন বলেন, মোখলেস আমার কাছে জমি বিক্রির পর একই জমি অন্য জায়গায় আবার বিক্রি করে দেয়। তার কাছে সেই জমির টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে উল্টো আমার বসত বাড়িতে জায়গা পাবেন বলে এলাকায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন ও হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। মোখলেস আমার সাথে প্রতারণা করেছেন আমি প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোখলেসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি মোবইল ফোনে কথা বলতে পারবো না। একদিন সময় করে সামনা সামনি বসে কথা বলবো।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, যদি কেহ কাইকে প্রাণনাশের হমকি বা প্রতারণা করে থাকলে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে পারে। আমারা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।