ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ভূয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আটক

মাহবুব আলম আরিফ / রায়হান চৌধুরী:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধৈইর পশ্চিম ইউনিয়নের খৈয়াখালি বাজার এলাকায় মুক্তিযুদ্ধা ফার্মেসি থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় তিনি ওই ফার্মেসির মালিক রফিকুল ইসলামের নিকট কাগজপত্র দেখার নামে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছিলেন।

বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান আটককৃত ব্যক্তি জেলার বুড়িচং সদরের উত্তর পাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামে ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪৯) বর্তমানে সে মুরাদনগর উপজেলা সদরের নিমাইকান্দি এলাকার হানিফের ভাড়া বাসায় থাকেন। বুধবার বিকেলে খৈয়াখালি বাজার এলাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কাগজপত্র দেখার নামে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদুল ইসলামকে প্রতারণার দায়ে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার দেহ তল্লাসি করে ফার্মেসির মালিক রফিকের কাছ থেকে নেয়া ১ হাজার টাকাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে নিজের নামে ছাপানো অনেকগুলো ভিজিটিং কার্ড ও একটি অকিটকি উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর বলেন, ভূয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে পরিচয় দিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টার ঘটনাটি এই প্রথম। প্রতারক এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলে দিয়েছি।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, ভূয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে পরিচয় দিয়ে অর্থ আদায়ের ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম প্রায় এক বছর আগে উপজেলা সদরের এরশাদ মিয়ার ছেলেকে চাকুরী দেয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এছাড়াও প্রায়ই সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পরিচয় দিয়ে ভয়ভিতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। স্থানীয় জনসাধারণের এখন একটাই দাবি প্রশাসন যেন প্রতারক জাহিদুলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে ভূয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আটক

আপডেট সময় ০২:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মাহবুব আলম আরিফ / রায়হান চৌধুরী:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধৈইর পশ্চিম ইউনিয়নের খৈয়াখালি বাজার এলাকায় মুক্তিযুদ্ধা ফার্মেসি থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় তিনি ওই ফার্মেসির মালিক রফিকুল ইসলামের নিকট কাগজপত্র দেখার নামে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছিলেন।

বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান আটককৃত ব্যক্তি জেলার বুড়িচং সদরের উত্তর পাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামে ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪৯) বর্তমানে সে মুরাদনগর উপজেলা সদরের নিমাইকান্দি এলাকার হানিফের ভাড়া বাসায় থাকেন। বুধবার বিকেলে খৈয়াখালি বাজার এলাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কাগজপত্র দেখার নামে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদুল ইসলামকে প্রতারণার দায়ে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার দেহ তল্লাসি করে ফার্মেসির মালিক রফিকের কাছ থেকে নেয়া ১ হাজার টাকাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে নিজের নামে ছাপানো অনেকগুলো ভিজিটিং কার্ড ও একটি অকিটকি উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর বলেন, ভূয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে পরিচয় দিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টার ঘটনাটি এই প্রথম। প্রতারক এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলে দিয়েছি।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, ভূয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে পরিচয় দিয়ে অর্থ আদায়ের ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম প্রায় এক বছর আগে উপজেলা সদরের এরশাদ মিয়ার ছেলেকে চাকুরী দেয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এছাড়াও প্রায়ই সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পরিচয় দিয়ে ভয়ভিতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। স্থানীয় জনসাধারণের এখন একটাই দাবি প্রশাসন যেন প্রতারক জাহিদুলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে।