মাহবুব আলম আরিফঃ
খরচ মাত্র দুই টাকার কাগজ কিন্তু ইনকাম হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি তবে সে টাকা কোন কষ্টের উপার্জনের নয় এই টাকা জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে সরকারের রাজস্ব ফাকি দেয়ার টাকা। আর এভাবেই একজন সাধারন দিন মুজুর হয়ে উঠেছে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। বানিয়েছেন কোটি টাকা খরচ করে বিলাস বহুল বাড়ী ও নিজস্ব অফিস। তবে সেখানেও রয়েছে প্রশ্ন অভিযোগ রেয়েছে পানি উন্নয় বোর্ডের জমিতে বাড়ী ও অফিস নির্মাণ করার। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন দফায় দফায় আসলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই টাকা দিয়ে তাদের কেও কিনে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানাজায়, গত বুধবার বিকেলে একই উপায়ে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে দলিল রেজিস্ট্রী করতে গেলে ঐ দলিল লিখকের বিরুদ্ধে পুরনো অভিযোগ থাকায় সাবরেজিষ্ট্রার অফিস মোহরার জাহাঙ্গীর আলমকে কাগজপত্র যাচাই করতে উপজেলা ভূমি অফিসে পাঠায়। ভূমি অফিস থেকে কাগজপত্র যাচাই করে এসে জানান গাঙ্গেরকুট মৌজার ২২৭নং খতিয়ানের ৫৬১ দাগের জমির শ্রেণী পুকুর পাড়রের পরিবর্তে চারা লিখা হয়েছে। আর এতে করে সরকারের রাজস্ব ফাকি দেয়া যাবে খুব সহজে।
সাব-রেজিষ্ট্রার আনিছুর রহমান জানান আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি খতিয়ান জাচাই করে দেখি জমির শ্রেনী পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে জমির মালিক উপজেলার গাঙ্গেরকুট গ্রামের মৃত তোতা মিয়া ছেলে মোঃ অহিদ মিয়াকে অবহীত করলে সে আমাকে বলে এই খতিয়ান আমার না, এটা তাহলে দলিল লিখক আবদুর রউফ মেম্বার বানিয়েছে আমাকে ধোকা দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাকি দেয়ার জন্য এ কাজ সে করেছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো: আর্জুন ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, দলিল লিখক জমির মালিকের সাথে জালিয়াতি করেছে। সাবরেজিস্ট্রী অফিস থেকে আমাকে এই খবর জানালে আমি এসআই নুর-নবীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে জাল কাগজপত্র উদ্ধার করি। পরে জমির মালিক মোঃ অহিদ মিয়া দলিল লিখক আবদুর রউফের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
দলিল লিখক আবদুর রউফ মেম্বার উপজেলার শিবানীপুর গ্রামের মৃত ফজলুল রহমানের ছেলে।