আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার ও সেনাবাহিনীর (অব:) সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম উপজেলায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার ছড়াছড়ি এমন মন্তব্য করায় লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা কবি নজরুল মিলনায়তনে যাচাই-বাছাই কালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযোদ্ধাগন জানায়, শুক্রবার অভিযোগ থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করার জন্য পূর্বনির্ধারিত ছিল। মুক্তিযোদ্ধা হানিফ সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের সহ ছয় সদস্যের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে সাক্ষ্য গ্রহন চলাকালে এনামুল হক নামের একজন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ডেপুটি কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হওয়ার সময় অন্য অভিযুক্তরা এসে জাহাঙ্গীরকে কিল ঘুসি মেরে লাঞ্চিত করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ সময় আহত জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সহ তার গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ প্রহরায় সে ঘটনা স্থল ত্যাগ ত্যাগ করে। পরে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধের বিরুদ্ধে আর কেউ স্বাক্ষ্য না দেওয়ায় যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি মুক্তিযোদ্ধাদের দুই এক বার ভাত খায়িছে এমন লোকদেরকেও তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হচ্ছে বলে একটি সুত্র জানায়। এ ঘটনার পূর্বমুহুর্তে একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাকে পুলিশে সোপর্দ করে যাচাই-বাছাই কমিটি। এ ঘটনায় উল্লসিত হয়ে উঠে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা।
এ বিষয়ে যুদ্ধকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ বলেন এ অনভিপ্রেত ঘটনায় আমরা মর্মাহত। উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তার সবগুলো অভিযোগ সত্য না হলেও প্রায় ৭০ভাগ সত্য। লাঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে তার বিরুপ আচরণও অনেকাংশে দায়ী।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের জানান মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই নির্ভর করছে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষ্যের উপর। জাহঙ্গীর আলমের উপর হামলার বিষয়ে তিনি ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে স্বীকার করেন।