হফেজ নজরুল ইসলাম:
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পায়ব হাজী আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরী মনির সরকার দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ভূয়া সনদের মাধ্যমে চাকুরী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গত ৫ এপ্রিল দপ্তরী মনিরকে কারন দর্শানো নোটিশ প্রধান করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পায়ব গ্রামের আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে মনির সরকার উপজেলার চাপিতলা অজিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম পাশ একটি ভুয়া সনদ তৈরী করে ভুয়া সনদের মাধ্যমে ও প্রতিষ্ঠাতার আত্মীয় হওয়ায় ১৯৯৮ সাল থেকে পায়ব হাজী আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরী পদে নিয়োগ পান। পরবর্তিতে ২০০৪ সালে তার পদটি এমপি ভূক্তি হওয়ায় দীর্ঘ চৌদ্দ বছর সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে। ভূয়া সনদের বিষয়টি এলাকায় প্রচার হলে স্কুলের প্রধান শিক আনোয়ার হোসেন দপ্তরী মনির সরকারকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রধানসহ বিষয়টির অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিা অফিসার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে প্রধান করেন।
অভিযোক্ত মনির সরকার এ বিষয়ে বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের সভাপতির আত্মিয় হয়ায়, আমার ৮ম শ্রেনী পাশের সনদটি পায়ব হাজী আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এক প্রধান শিক্ষক ঐ সনদটি ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
অষ্টম পাশের সনদ নেওয়া চাপিতলা অজিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক শাহজান মিয়া, জানান, এই নামে বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিস্টারে কোন প্রাকার তথ্য নেই। মনির সরকারের দাখিল করা সদটি ভূয়া।
পায়ব হাজী আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য মনিরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। মনির যে স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেনী পাশ সনদ নিয়েছেন তা যে ভূয়া সে বিষয়টি আমি নিশ্চিত হয়েছি এবং ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ভূয় সনদের একটি পত্রয়ন পত্র আমাকে প্রধান করেছে। এখন মনিরকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি সরকারি বেতন বন্ধে প্রয়োজনিয় ব্রবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম তালুকদার জানান, ভূয়া সনদের বিষয়ে একটি অনুলিপির পেয়েছি। বিষয়টি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।