ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে মসজিদের নামকরণ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মসজিদের নামকরণ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গকুলনগর দক্ষিণপাড়ার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

রবিবার বিকেলে উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গকুলনগর দক্ষিণপাড়া সরকার বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ৪ অক্টোবর কুমিল্লার একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে একটি কুচক্রী মহল মসজিদের নামকরণ নিয়ে বানোয়াট, অসত্য, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচার ছড়ায়।

বিগত সম্মেলনে তারা মসজিদে জমি দেয়া সংক্রান্ত যে তথ্যটি প্রচার করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেখানে দাবি করা হয় বিগত ৩০ বছর আগে মসজিদের প্রয়োজনে তারা জমি ওয়াকফ করেছে।
মূলত গকুলনগর দক্ষিণপাড়া দোস্ত-মাহমুদ সরকার বাড়ির জামে মসজিদটি প্রায় শতাধিক বছরের পূর্বে নির্মিত। যুগের চাহিদা ও জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে এবং শতবর্ষ পূর্বে নির্মিত মসজিদটি আয়তনে ছোট বিধায় স্থান সংকুলানে সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে মসজিদটি স্ব অবস্থানে বড় করার সুযোগ না থাকায় পূর্বের জায়গা থেকে স্থানীয় সকলের সহযোগিতায় মাত্র ২০ ফুট দূরে মসজিদটি স্থাপন করা হয়। পুরাতন মসজিদটি এখনো স্ব অবস্থানে সুরক্ষিত রহিয়াছে। বর্তমানে মসজিদটি যেই জায়গায় অবস্থিত, সেই জায়গাটি ১৯৭৭ সালে ওয়াকফ দলিল দ্বারা নামকরণ করা হয় “দোস্ত-মাহমুদ সরকার বাড়ি মসজিদ” নামে।

এখানে মসজিদের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও ঈদগা এর নামেও ওয়াকফ দলিল দ্বারা দোস্ত-মাহমুদ সরকার নামে নামকরণ করা হয়েছে। যার যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে।
যখনই আমরা দলিল পত্র অনুযায়ী বর্তমান মসজিদের নামকরণ “দোস্ত-মাহমুদ সরকার বাড়ি মসজিদ” করতে যাই, তখনই একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে।

এ সময় বক্তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদের নামে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি যাবতীয় কাগজপত্র অনুযায়ী যেন মসজিদটির নামকরণ করতে আমাদের সহযোগিতা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব আবু তাহের মাষ্টার, মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন, ক্যাশিয়ার আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, সহ সভাপতি ও দাতা সদস্য মোঃ দুলাল মিয়া, মাদ্রাসা কমিটির ক্যাশিয়ার ও দাতা সদস্য হাজী মোঃ বশির আহাম্মেদ, দাতা সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম, হাজী মনির, খোরশেদ আলম সরকার, মসজিদ কমিটির সদস্য হাজী মোঃ হানিফ সরকার, আব্দুল কাইয়ুম সরকার, হাজী মুকবুল হোসেন সহ গকুলনগর গ্রামের সরকার বাড়ির সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে মসজিদের নামকরণ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৬:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মসজিদের নামকরণ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গকুলনগর দক্ষিণপাড়ার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

রবিবার বিকেলে উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গকুলনগর দক্ষিণপাড়া সরকার বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ৪ অক্টোবর কুমিল্লার একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে একটি কুচক্রী মহল মসজিদের নামকরণ নিয়ে বানোয়াট, অসত্য, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচার ছড়ায়।

বিগত সম্মেলনে তারা মসজিদে জমি দেয়া সংক্রান্ত যে তথ্যটি প্রচার করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেখানে দাবি করা হয় বিগত ৩০ বছর আগে মসজিদের প্রয়োজনে তারা জমি ওয়াকফ করেছে।
মূলত গকুলনগর দক্ষিণপাড়া দোস্ত-মাহমুদ সরকার বাড়ির জামে মসজিদটি প্রায় শতাধিক বছরের পূর্বে নির্মিত। যুগের চাহিদা ও জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে এবং শতবর্ষ পূর্বে নির্মিত মসজিদটি আয়তনে ছোট বিধায় স্থান সংকুলানে সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে মসজিদটি স্ব অবস্থানে বড় করার সুযোগ না থাকায় পূর্বের জায়গা থেকে স্থানীয় সকলের সহযোগিতায় মাত্র ২০ ফুট দূরে মসজিদটি স্থাপন করা হয়। পুরাতন মসজিদটি এখনো স্ব অবস্থানে সুরক্ষিত রহিয়াছে। বর্তমানে মসজিদটি যেই জায়গায় অবস্থিত, সেই জায়গাটি ১৯৭৭ সালে ওয়াকফ দলিল দ্বারা নামকরণ করা হয় “দোস্ত-মাহমুদ সরকার বাড়ি মসজিদ” নামে।

এখানে মসজিদের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও ঈদগা এর নামেও ওয়াকফ দলিল দ্বারা দোস্ত-মাহমুদ সরকার নামে নামকরণ করা হয়েছে। যার যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে।
যখনই আমরা দলিল পত্র অনুযায়ী বর্তমান মসজিদের নামকরণ “দোস্ত-মাহমুদ সরকার বাড়ি মসজিদ” করতে যাই, তখনই একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে।

এ সময় বক্তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদের নামে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি যাবতীয় কাগজপত্র অনুযায়ী যেন মসজিদটির নামকরণ করতে আমাদের সহযোগিতা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব আবু তাহের মাষ্টার, মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন, ক্যাশিয়ার আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, সহ সভাপতি ও দাতা সদস্য মোঃ দুলাল মিয়া, মাদ্রাসা কমিটির ক্যাশিয়ার ও দাতা সদস্য হাজী মোঃ বশির আহাম্মেদ, দাতা সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম, হাজী মনির, খোরশেদ আলম সরকার, মসজিদ কমিটির সদস্য হাজী মোঃ হানিফ সরকার, আব্দুল কাইয়ুম সরকার, হাজী মুকবুল হোসেন সহ গকুলনগর গ্রামের সরকার বাড়ির সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।