আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগরে মুফতি মোহাম্মদ এনায়েতউল্লাহ্ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী লাঞ্ছিত হয়েছেন। মাহফিলে হেলিকপ্টার ব্যাবহার করা জায়েজ নয় একথাকে কেন্দ্র করে সৌদী আরব আরবী বিশ্ব বিদ্যালয়ের মোবাল্লিক ড. সাইফুল ইসলাম জিহাদী একথা বলেন, মোহাম্মদ এনায়েতউল্লাহ্ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরীকে কেন্দ্র করে একথা বললে দুপক্ষ মধ্যে হাতাহাতি পর্যায়ে চলে যায়। ওয়াজ মাহলিলে মাইকে হট্টগোল শুরু হলে এলাকার লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে। ওয়াজ মাহফিলে আসা লোকজন হাতে হাতে লাটিসোটা নিয়ে দাড়িয়ে দেখতে থাকে মাহফিলের টেইজে কি হচ্ছে।
সোনারামপুর জামে মসজিদেও মাজফিলে আসা এলাকার শতে শতে লোকজন সাংবাদিকদের জানান,গতকাল মুরাদনগর উপজেলার টনকি ইউপি’র সোনারামপুর জামে মসজিদের উদ্দ্যোগে ৮ম ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে সোনারামপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা সৌদী আরব আরবী বিশ্ব বিদ্যালয়ের মোবাল্লিক ড. সাইফুল ইসলাম জিহাদী মুফতি প্রধান বক্তা মোহাম্মদ এনায়েতউল্লাহ্ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরীকে লাঞ্ছিত করেন।
জিহাদী বলেন, মুফতি মোহাম্মদ এনায়েতউল্লাহ্ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী দুপুর সোয়া একটায় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি ভাড়াকৃত হেলিকপ্টার দিয়ে আসেন। তখন ওই যাত্রাপুর রঘুরামপুর, সোনারামপুর, পুষ্কুনিপাড়ও টনকি গ্রামের ৪/৫হাজার নারী পুরুষ ওই হেলিকপ্টার দেখতে আসেন। তাই আমি বলেছি হেলিকপ্টার ভাড়া করে মাওলানা আসা জায়েজ নয়। এনিয়ে মুফতি মোহাম্মদ এনায়েতউল্লাহ্ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী সাথে দুই ছাত্র সাথে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতির দিকে চলে যায়। আশেপাশ্বেও বাড়ীর মানুষ লাঠিশোটা নিয়ে আসেন। পরে
মুফতি মোহাম্মদ এনায়েতউল্লাহ্ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী জোহর নামাজ শেষে ওই এলাকার জনতাকে শান্তনা দিলে একঘন্টা বক্তব্য রেখে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
সোনারামপুর গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদীন শিশু মিয়া সভাপতিত্বে উক্ত মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মোঃমহিউদ্দিন ভূইয়া, মাওঃ মজিবুর রহমান,মাওঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম,মোঃ আমির হোসেন মোল্লা,হাজী শহিদ মোল্লা,মোঃ জসিম উদ্দিন মুন্সি,ইউপি’র চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন সরকার,মোঃ ফুল মিয়া মুন্সিসহ অসংখ বিষেশ অতিথি ছিলেন।