ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে মুফতী আমিনী’র ‘জীবন-কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মুফতী আমিনী’র ‘জীবন-কর্ম ও অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দুয়া মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা ইসলামী ঐক্যজোট। এ সময় তরুণ বক্তা মাওলানা মীর্জা মুহাম্মদ ইয়াসীন আরাফাতকে সভাপতি, মুফতী মানসুর কবীরকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মাওলানা জাকারিয়া আফনানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাওলানা আলাউদ্দিন আজিজীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী ঐক্যজোট মুরাদনগর উপজেলা শাখা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আল্লামা মুফতী আমিনী রহ. ছিলেন স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তার অধিকারী। তিনি তাঁর সহজাত গুণাবলীর দ্বারা মানুষের মনে স্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছিলেন। তীক্ষ্ণ মেধা ও বুদ্ধিমত্তা এবং কৌশলের কারণে তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। ইসলাম, মুসলমান ও দেশের স্বার্থে বাতিলের মোকাবেলায় যেকোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়ার দূরন্ত সাহস ছিল তাঁর। যখনই কোনো
অপশক্তি ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতো তখনই তিনি গর্জে উঠতেন। এক্ষেত্রে তিনি এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেই পরোয়া করতেন না বলে মন্তব্য করেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ।

বুধবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার করিমপুর জামিয়া দারুল উলুম মহিউসসুন্নাহ মাদ্রাসায় উপজেলা ইসলামী ঐক্যজোটের আয়োজিত মুফতী আমিনী’র ‘জীবন-কর্ম ও অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দুয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, মুজাহিদে মিল্লাত মুফতী আমিনী রহ. একদিকে যেমন শীর্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন তেমনি অন্যদিকে একজন বিজ্ঞ হাদিস বিশারদ, বিচক্ষণ আলেম ও বুজুর্গ ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালের পর দেশের ইসলামী অঙ্গনে যে নেতৃত্ব
শূন্যতা শুরু হয়েছে, তা আজও পূরণ হয়নি।

মুফতী ফয়জুল্লাহ আরও বলেন, মুফতী আমিনী রহ. আমাদের চেতনার বাতিঘর, চলার পথের অনুপ্রেরনা। খানকা, হাদিসের মসনদ, রাজনীতির ময়দান সবখানেই ছিল তাঁর সরব পদচারণা। মুফতী আমিনী রহ.-এর রুহানী সন্তানদেরকে তাঁর নীতি ও আদর্শের উপর অবিচল থেকে দেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

উপজেলার করিমপুর জামিয়া দারুল উলুম মহিউসসুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতী দ্বীন মুহাম্মাদ আশরাফের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় নেতা মুফতী জুবায়ের আহমদ কাসেমী, মাওলানা হাবিবুর রহমান,
মাওলানা মীর্জা মোহাম্মদ ইয়াসীন আরাফাত, মাওলানা আবু ইউসুফ, মাওলানা আবু হানিফ, মাওলানা ইলিয়াস আহমদ প্রমুখ।

সভায় ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন বলেন, মুফতী আমিনী রহ. এর শুন্যতা পূরণ হবার নয়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। আমাদেরকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তাঁর স্বপ্ন বাস্ববায়নে কাজ করে যেতে হবে।

মুফতি দ্বীন মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, মুফতি আমিনী রহ.-এর মিশন ও ভিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যতই ষড়যন্ত্র হোক আমরা পিছপা হবো না ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে আল্লামা মুফতী আমিনী রহ.-এর রূহের মাগফিরাত কামনায় মুনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘটে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

মুরাদনগরে মুফতী আমিনী’র ‘জীবন-কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৪:১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মুফতী আমিনী’র ‘জীবন-কর্ম ও অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দুয়া মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা ইসলামী ঐক্যজোট। এ সময় তরুণ বক্তা মাওলানা মীর্জা মুহাম্মদ ইয়াসীন আরাফাতকে সভাপতি, মুফতী মানসুর কবীরকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মাওলানা জাকারিয়া আফনানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাওলানা আলাউদ্দিন আজিজীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী ঐক্যজোট মুরাদনগর উপজেলা শাখা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আল্লামা মুফতী আমিনী রহ. ছিলেন স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তার অধিকারী। তিনি তাঁর সহজাত গুণাবলীর দ্বারা মানুষের মনে স্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছিলেন। তীক্ষ্ণ মেধা ও বুদ্ধিমত্তা এবং কৌশলের কারণে তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। ইসলাম, মুসলমান ও দেশের স্বার্থে বাতিলের মোকাবেলায় যেকোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়ার দূরন্ত সাহস ছিল তাঁর। যখনই কোনো
অপশক্তি ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতো তখনই তিনি গর্জে উঠতেন। এক্ষেত্রে তিনি এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেই পরোয়া করতেন না বলে মন্তব্য করেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ।

বুধবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার করিমপুর জামিয়া দারুল উলুম মহিউসসুন্নাহ মাদ্রাসায় উপজেলা ইসলামী ঐক্যজোটের আয়োজিত মুফতী আমিনী’র ‘জীবন-কর্ম ও অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দুয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, মুজাহিদে মিল্লাত মুফতী আমিনী রহ. একদিকে যেমন শীর্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন তেমনি অন্যদিকে একজন বিজ্ঞ হাদিস বিশারদ, বিচক্ষণ আলেম ও বুজুর্গ ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালের পর দেশের ইসলামী অঙ্গনে যে নেতৃত্ব
শূন্যতা শুরু হয়েছে, তা আজও পূরণ হয়নি।

মুফতী ফয়জুল্লাহ আরও বলেন, মুফতী আমিনী রহ. আমাদের চেতনার বাতিঘর, চলার পথের অনুপ্রেরনা। খানকা, হাদিসের মসনদ, রাজনীতির ময়দান সবখানেই ছিল তাঁর সরব পদচারণা। মুফতী আমিনী রহ.-এর রুহানী সন্তানদেরকে তাঁর নীতি ও আদর্শের উপর অবিচল থেকে দেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

উপজেলার করিমপুর জামিয়া দারুল উলুম মহিউসসুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতী দ্বীন মুহাম্মাদ আশরাফের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় নেতা মুফতী জুবায়ের আহমদ কাসেমী, মাওলানা হাবিবুর রহমান,
মাওলানা মীর্জা মোহাম্মদ ইয়াসীন আরাফাত, মাওলানা আবু ইউসুফ, মাওলানা আবু হানিফ, মাওলানা ইলিয়াস আহমদ প্রমুখ।

সভায় ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন বলেন, মুফতী আমিনী রহ. এর শুন্যতা পূরণ হবার নয়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। আমাদেরকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তাঁর স্বপ্ন বাস্ববায়নে কাজ করে যেতে হবে।

মুফতি দ্বীন মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, মুফতি আমিনী রহ.-এর মিশন ও ভিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যতই ষড়যন্ত্র হোক আমরা পিছপা হবো না ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে আল্লামা মুফতী আমিনী রহ.-এর রূহের মাগফিরাত কামনায় মুনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘটে।