মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি ঃ
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরবর্তী সহিংসতার অংশ হিসেবে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় কাউছার আহমেদ নামে এক যুবলীগ নেতার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা ও বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় থাকা রিপন মন্ডল নামে এক কর্মী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়ি-ঘরে থাকা সকল মালামাল আগুনে পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আগুনে ভস্মীভূত হয়ে মৃত্যু হওয়া রিপন মন্ডল কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা গ্রামের মৃত রবিন্দ্র মন্ডলের ছেলে।
সোমবার (৫ আগস্ট) দিবাগত গভির রাতে মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাউছার আহমেদের মালিকাধীন দারোরা বাজারের কাউছার ভ্যারাইটিজ স্টোর ও দারোরা গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত প্রায় ১টার দিকে দারোরা বাজারের কাউছার ভ্যারাইটিজ স্টোর নামের মুদি দোকানে একদল জনতা আগুন দেয়। এতে দোকান ঘরে থাকা সকল মালামাল ভস্মীভূত হয় এবং দোকানের নিরাপত্তায় থাকা রিপন মন্ডল নামে এক কর্মী দোকানের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আগুনে পুড়ে মারা যায়। অপর দিকে রাত ২টার সময় দারোরা দক্ষিন পাড়া এলাকায় যুবলীগ নেতা কাউছারের বাড়িতে একদল জনতা গিয়ে কাউছারকে খোঁজতে থাকে। কাউছারকে বাড়িতে না পেয়ে বিক্ষোব্ধ জনতা তার বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় স্থানীয়রা পরিবারের লোকজনদের শরিয়ে নিয়ে প্রানে রক্ষা পায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ও মুরাদনগর উপজেলার ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাউছার আহমেদ মোবাইল ফোনে অভিযোগ করে বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় এবং শুধু মাত্র রাজনৈতিক শত্রুতার কারনেই আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠন ও বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাস চন্দ্র ধর ধর ঘটনার সত্ত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ ও সেনাবাহিনি ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।