ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে যৌতুক না পেয়ে স্কুল শিক্ষিকাকে ডিভোর্স

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ক্ষুদ্র ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ফারজানা আক্তার জেনী বিবাহের তিন বৎসরের মাথায় স্বামীকে যৌতুক দিতে না পারায় ডিভোর্সের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলা সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত নূরুমিয়ার মেয়ে ও উপজেলার ক্ষুদ্র ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ফারজানা আক্তার জেনীর উপজেলার হিরাকান্দা (কেরানী বাড়ীর) শাহজাহান মিয়া (মাষ্টারের) ছেলে সৌদি প্রবাসি মাহবুবুল হাছান মারুফের সাথে তিন বৎসর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় জেনীকে তার স্বামী মারধর করত। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার পর, ছেলে সন্তান না হওয়ায় স্বামী মারুফ তার স্ত্রী-সন্তানের খোজ-খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিছু দিন পূর্বে মারুফ দেশে এসে বিদেশে দোকান ক্রয়ের কথা  বলে জেনিকে তার বাবার বাড়ি থেকে ছয় লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় জেনির স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোক জন তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং ডিভোর্স পেপার পাঠায়।

এ বিষয়ে শিক্ষিকা ফারজানা আক্তার জেনী জানান, এ বিষয়ে আমি কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড এর ৮নং আমলী আদালতে যৌতুক নিরুধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছি। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর

মুরাদনগরে যৌতুক না পেয়ে স্কুল শিক্ষিকাকে ডিভোর্স

আপডেট সময় ০৫:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০১৬

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ক্ষুদ্র ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ফারজানা আক্তার জেনী বিবাহের তিন বৎসরের মাথায় স্বামীকে যৌতুক দিতে না পারায় ডিভোর্সের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলা সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত নূরুমিয়ার মেয়ে ও উপজেলার ক্ষুদ্র ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ফারজানা আক্তার জেনীর উপজেলার হিরাকান্দা (কেরানী বাড়ীর) শাহজাহান মিয়া (মাষ্টারের) ছেলে সৌদি প্রবাসি মাহবুবুল হাছান মারুফের সাথে তিন বৎসর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় জেনীকে তার স্বামী মারধর করত। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার পর, ছেলে সন্তান না হওয়ায় স্বামী মারুফ তার স্ত্রী-সন্তানের খোজ-খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিছু দিন পূর্বে মারুফ দেশে এসে বিদেশে দোকান ক্রয়ের কথা  বলে জেনিকে তার বাবার বাড়ি থেকে ছয় লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় জেনির স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোক জন তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং ডিভোর্স পেপার পাঠায়।

এ বিষয়ে শিক্ষিকা ফারজানা আক্তার জেনী জানান, এ বিষয়ে আমি কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড এর ৮নং আমলী আদালতে যৌতুক নিরুধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছি। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।