ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে রিক্সা চালকের লাশ উদ্ধার

মুরাদনগর র্বাতা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় আব্দুল হক নামের এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রী মালেকা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায়িএকটি মামলা করেছেন।

বুধবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার টনকি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।

নিহত আব্দুল হক (৪১) উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফিরেননি। সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন তার কোনো হদিস পায়নি। বুধবার সকালে বাঙ্গরা বাজার থানার টনকি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের রাস্তার পাশে একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। আবার অনেকেই লাশের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। ফেসবুকে ছবি দেখেই পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হয় এ লাশ আব্দুল হকের। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মালেকা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন।

মালেকা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার স্বামী অত্যন্ত সহজ সরল ছিলেন। প্রতিবেশী কিংবা জায়গা জমি নিয়ে কারো সঙ্গে বিরোধ ছিল না। কি কারণে তাকে খুন করা হলো তা বুঝতে পারছি না। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি আমি মরার আগে দেখে যেতে চাই।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিরীহ আব্দুল হকের পেটের নিচের ডান অংশে আঘাতের চি‎‎হ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অবাক বিষয় হলো তার লাশের ৩শ’ গজের মধ্যেই পড়েছিল অটোরিকশাটি। পকেটে ছিল ৭৫০ টাকা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রহস্য উদঘাটনের জন্য কাছ করছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

মুরাদনগরে রিক্সা চালকের লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:২০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

মুরাদনগর র্বাতা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় আব্দুল হক নামের এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রী মালেকা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায়িএকটি মামলা করেছেন।

বুধবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার টনকি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।

নিহত আব্দুল হক (৪১) উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফিরেননি। সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন তার কোনো হদিস পায়নি। বুধবার সকালে বাঙ্গরা বাজার থানার টনকি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের রাস্তার পাশে একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। আবার অনেকেই লাশের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। ফেসবুকে ছবি দেখেই পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হয় এ লাশ আব্দুল হকের। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মালেকা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন।

মালেকা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার স্বামী অত্যন্ত সহজ সরল ছিলেন। প্রতিবেশী কিংবা জায়গা জমি নিয়ে কারো সঙ্গে বিরোধ ছিল না। কি কারণে তাকে খুন করা হলো তা বুঝতে পারছি না। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি আমি মরার আগে দেখে যেতে চাই।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিরীহ আব্দুল হকের পেটের নিচের ডান অংশে আঘাতের চি‎‎হ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অবাক বিষয় হলো তার লাশের ৩শ’ গজের মধ্যেই পড়েছিল অটোরিকশাটি। পকেটে ছিল ৭৫০ টাকা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রহস্য উদঘাটনের জন্য কাছ করছি।