মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ তুলেছে।
জানা যায়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষা বর্ষের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত ফি ১৭৫টাকা। কিন্তু উপজেলার ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো সেই নির্ধারিত ফি তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। এতে করে নিম্ম মধ্যবৃত্ত পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ধার কর্যা করে রেজিস্ট্রেশন করছে।
রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রের অভিভাবক রিক্সাচালক হাবিল মিয়া বলেন, ‘হাওলাত (ধার) কইরা ৪শ টাকা আনছি আমার মাইয়ার ল্যাইগা। আমার জন্য এত টাকা দেওয়ন কষ্ট হইছে ভাই।’
কমপক্ষে ১৫টি স্কুলের অভিভাকদের সাথে কথা হলে তারা ক্ষোব প্রকাশ করে বলেন, ‘ আমাদের ছেলে মেয়ে তাদের কাছে পড়ে তাই আমরা শখের করাত বাধ্য হয়েই কষ্ট করে শিক্ষদের চাহিদা পূরণ করছি। বিদ্যালয়ের কমিটির লোকদের কাছে বলেও কোন কাজ হয়না বরং তাদেরকে সাথে নিয়েই স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা বেশি টাকা নিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতি ছাত্র ৫শ টাকা, রামচন্দ্রপুর আকব্বরের নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫’শ টাকা, রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় ৪’শ, কোরবানপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয় ৪’শ, মোচাগড়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় ৩’শ ৫০, দারোরা ডিনেশ উচ্চ বিদ্যালয়য় ৩’শ ৫০, বাইড়া স্কুল এন্ড কলেজ ৩’শ, শ্রীকাইল কে কে উচ্চ বিদ্যালয় ৩’শ ৫০, শ্রীকাইল নজম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৩’শ ৫০ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি আদায় করছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আক্তার বলেন, রেজিস্ট্রেশন ও উন্নয়ন ফি বাবদ ৫’শ টাকা নেয়া হয়েছে।
রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, অফিসিয়াল খরচসহ রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৪’শ টাকা নেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার জানান, অতিরিক্ত টাকা যদি কোন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেয়, প্রমান পেলে ব্যবস্থা নিব।
কুমিল্লা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই, এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।