মাহবুব আলম আরিফঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় শুশুর বাড়িতে বেড়াতে আসা জামাই মানিক মিয়ার(৩৮) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার রাতে নিহতের ভাই মামুন মিয়া বাদী হয়ে ছয় জনের নামে উল্লেখ্য করে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করে এবং মুরাদনগর থানা পুলিশ চার জনকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩৫), শশুর তছলিম ভূইয়া(৬০), শাশুরি গুসনেয়ারা বেগম(৫৫) ও তছলিম ভূইয়ার ছেলে ইকরামুল হক ভূইয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মানিক মিয়ার শরীয়ত মোতাবেক মুরাদনগর উপজেলার চৌধুরীকান্দি গ্রামের তছলিম উদ্দিনের মেয়ে ফরিদা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। তাদের বিবাহিত সংসার জীবনে এক ছেলে এক মেয়ে জন্ম নেয়। সন্তানদের ভবিষৎ চিন্তা করে মানিক প্রায় ৬ বছর পূর্বে মালদ্বীপে যায়। সেখান থেকেই মানিক স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতেন। সেই টাকা দিয়ে শুশুর বাড়ি এলাকায় জমি ক্রয় করে। ক্রয় করা জমি রেজিস্ট্রি করা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ তৈরী হলে স্বামী মানিক মালদ্বীব থেকে বাড়িতে আসে। সেই বিরোধের জেরে গত বছরের আগস্ট মাসে তার শশুর বাড়ির লোকজন তাকে বেদরক পিটিয়ে আহত করলে সেই থেকে সে তার স্ত্রী সন্তান ও শ^শুর বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করেন মানিক। তার শ^শুর বাড়ির লোকজন জমিটি দখল করেছে শুনে মানিক আবার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী তাকে শ^শুর বাড়িতে আসতে বললে গত রবিবার রাতে চৌধুরীকান্দি শশুর বাড়িতে আসে মানিক। এই দিন রাতে মানিক তার নিজ মোবাইল ফোন থেকে তার ভাই মমিনুলকে ফোন করে তাকে প্রানে বাচানোর কথা বলে। এর পর রাত ১টার দিকে শশুর বাড়ির স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাদের ফোন করে জানায় মানিক অত্মহত্যা করেছে।
উল্লেখ, রবিবার রাতে মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের চৌধুরীকান্দি গ্রামের আজাদি কর্ণার তোরনের পাশের সড়কে পড়ে থাকে মানিক। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অরজুন মিয়া জানান, মানিককে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে আটক করে সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।