ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শহীদদের স্মরনে নির্মিত একাডেমি এখন গণশৌচাগার!

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরানগর উপজেলা সদরে অবস্থীত প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের তিন তলা বিশিষ্ট শহীদ ম্মৃতী শিশু একাডেমীটি এখন প্রায় গণশৌচাগারে পরিণত হয়েছে। ব্যয়বহুল এ অডিটরিয়ামটি উদ্বোধনের পর থেকে অভিবাবক হীন হয়ে অযতœ ও অবহেলায় পড়ে আছে।

সরেজমিনে জানা যায়, মুরাদনগর ডিআর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, আর্দশ সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয় ও প্রাথমীক বিদ্যালয় শিক্ষক প্রশিক্ষন কেন্দ্র, মুরাদনগরের একমাত্র খেলার মাঠ, নূরনন্নাহার বালীকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাব-রেজীষ্টি আফিস, মুরাদনগর থানা এবং সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় এতগুলো প্রতিষ্ঠানের মাঝে ১৯৮৯ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করে মুরাদনগর শহীদ স্মৃতী শিশু একাডেমী। নির্মাণ শেষে ৫/৬ বছর সেটির অবস্থা ভাল থাকলেও এর পর থেকে এটি খারাপ ছেলেদের অড্ডার ও নেশাগখোরদের একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার হতো।

বর্তমানে এই ভবনটির নেই কোন দরজা যানালা এবং হল রোমের নেই কোন চাল। বাহির থেকে দেখতে মনে হবে কোন পরিতেক্ত গুদাম ঘর । আর কাছে গেলে মনেহবে যেন পাবলিক টয়লেট । এটিহল মুরাদনগর উপজেলার শহীদ স্মৃতী শিশু একাডেমী আবস্থা। প্রশসানের অবহেলায় অবেবস্থাপনায় এটি এখন ঘন টয়লেট হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে।এতগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবং প্রশাসনের সামনে শিশুদের ম্যাধাবিকাশের এই প্রতিষ্ঠানটি অবহেলায়/অবগায় ধংশ্য হয়ে যাচ্ছে ।

স্থানিয় লোকদের সাথে কথাবললে ব্যবসায়ি বাবুল মিয়া বলেন আমাকে কিছু বলবেননা এটা আমাদের লর্জ্জার কথা,এই কথা বলে আমাদের অপমান করবেন না বলে আর কিছু বলতে চাননি ।

শহিদুল¬া স্যার বলেন, এটা আমাদের লর্জ্জার কথা , এটি তৈরী করাহয় ১৯৮৯ সালে। এরপর ৫/৬ বছর তাঠিক ছিল এর পর থেকে এটি খারাপ ছেলেদের অড্ডার ও নেশার স্থান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে । এবং দরজা যানালা টিন খুলে নিয়েগেছে । এটি এখন পরিতেক্ত টয়লেট হিসেবে আছে । এভাবে স্থানিয় আরও অনেকের সাথে কথা হয় তারা দংুখ ও খুব প্রকাশ করেন। এলাকাবাসির আশা প্রশাসনের কাছে তাদের চাওয়া প্রতিষ্ঠানটি যেন ধংশ্য না করে এ উপজেলার সভা, সেমিনার, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, সংস্কৃতীক অনুষ্ঠান ইত্যাদি করার জন্য সংস্করের মাধ্যমে রকখনা বেকখনের দায়িত্ব নিবেন ।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু জানান, এ ভবনটিকে পরিতেক্ত হিসেবে ঘোষনার জন্য আমরা লিখিত ভাবে কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এবং এ ভবনটির স্থলে নতুন ভাবে আরো একটি অডিটরিয়াম নির্মানের পরিকল্পনা আছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

মুরাদনগরে শহীদদের স্মরনে নির্মিত একাডেমি এখন গণশৌচাগার!

আপডেট সময় ০২:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৭
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরানগর উপজেলা সদরে অবস্থীত প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের তিন তলা বিশিষ্ট শহীদ ম্মৃতী শিশু একাডেমীটি এখন প্রায় গণশৌচাগারে পরিণত হয়েছে। ব্যয়বহুল এ অডিটরিয়ামটি উদ্বোধনের পর থেকে অভিবাবক হীন হয়ে অযতœ ও অবহেলায় পড়ে আছে।

সরেজমিনে জানা যায়, মুরাদনগর ডিআর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, আর্দশ সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয় ও প্রাথমীক বিদ্যালয় শিক্ষক প্রশিক্ষন কেন্দ্র, মুরাদনগরের একমাত্র খেলার মাঠ, নূরনন্নাহার বালীকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাব-রেজীষ্টি আফিস, মুরাদনগর থানা এবং সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় এতগুলো প্রতিষ্ঠানের মাঝে ১৯৮৯ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করে মুরাদনগর শহীদ স্মৃতী শিশু একাডেমী। নির্মাণ শেষে ৫/৬ বছর সেটির অবস্থা ভাল থাকলেও এর পর থেকে এটি খারাপ ছেলেদের অড্ডার ও নেশাগখোরদের একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার হতো।

বর্তমানে এই ভবনটির নেই কোন দরজা যানালা এবং হল রোমের নেই কোন চাল। বাহির থেকে দেখতে মনে হবে কোন পরিতেক্ত গুদাম ঘর । আর কাছে গেলে মনেহবে যেন পাবলিক টয়লেট । এটিহল মুরাদনগর উপজেলার শহীদ স্মৃতী শিশু একাডেমী আবস্থা। প্রশসানের অবহেলায় অবেবস্থাপনায় এটি এখন ঘন টয়লেট হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে।এতগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবং প্রশাসনের সামনে শিশুদের ম্যাধাবিকাশের এই প্রতিষ্ঠানটি অবহেলায়/অবগায় ধংশ্য হয়ে যাচ্ছে ।

স্থানিয় লোকদের সাথে কথাবললে ব্যবসায়ি বাবুল মিয়া বলেন আমাকে কিছু বলবেননা এটা আমাদের লর্জ্জার কথা,এই কথা বলে আমাদের অপমান করবেন না বলে আর কিছু বলতে চাননি ।

শহিদুল¬া স্যার বলেন, এটা আমাদের লর্জ্জার কথা , এটি তৈরী করাহয় ১৯৮৯ সালে। এরপর ৫/৬ বছর তাঠিক ছিল এর পর থেকে এটি খারাপ ছেলেদের অড্ডার ও নেশার স্থান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে । এবং দরজা যানালা টিন খুলে নিয়েগেছে । এটি এখন পরিতেক্ত টয়লেট হিসেবে আছে । এভাবে স্থানিয় আরও অনেকের সাথে কথা হয় তারা দংুখ ও খুব প্রকাশ করেন। এলাকাবাসির আশা প্রশাসনের কাছে তাদের চাওয়া প্রতিষ্ঠানটি যেন ধংশ্য না করে এ উপজেলার সভা, সেমিনার, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, সংস্কৃতীক অনুষ্ঠান ইত্যাদি করার জন্য সংস্করের মাধ্যমে রকখনা বেকখনের দায়িত্ব নিবেন ।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু জানান, এ ভবনটিকে পরিতেক্ত হিসেবে ঘোষনার জন্য আমরা লিখিত ভাবে কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এবং এ ভবনটির স্থলে নতুন ভাবে আরো একটি অডিটরিয়াম নির্মানের পরিকল্পনা আছে।