মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় শাঁখা-সিঁদুর পরে একটি পূজাম-পে গিয়ে অভিনব সব কৌশল অবলম্বন করে সোনার চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের তিনজন মুসলিম নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে বাঙ্গরা থানা পুলিশ এক সংবাদ সম্মামেলনের মাধ্যমে জানান। এরআগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকোট ইউনিয়নের সিদ্বেস্বরী মন্দির থেকে ওই নারী ছিনতাইকারীদেও আটক করা হয়।
আটককৃত নারী ছিনতাইকারীরা হলো, বি-বাড়িয়া জেলার নাছিরনগর থানার ধরমন্ডল গ্রামের বাসির মিয়ার স্ত্রী কাজলী (৩৩), একই গ্রামের ছোট্টু মিয়ার স্ত্রী বানু বেগম (৩৯) ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার গনিপুর গ্রামের গাজী মিয়ার স্ত্রী সোমা আক্তার (৩০)।সগংবাদ সম্মেলনে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আন্দিকোট সিদ্বেস্বরী মন্দিরে পূজা শুরুর আগেই সেখানকার মন্দির কমিটির লোকজনের মাধ্যমে এলাকায় সচেতনতা মূলক মাইকিং করানো হয়। সেখানে বলা হয়েছিলো মন্দিরে পূজা চলাকালীন সময় অন্য ধর্মের লোকজন যেন প্রবেশ না করে। এতে করে ছিনতাই চক্ররা মুসলিম হয়ে হাতে শাঁখা ও মাথায় সিঁদুর ব্যবহার করে পূজাম-পে প্রবেশ করে। পূজা চলাকালীন সময়ের এক পর্যায়ে সেখানে আসা ৫ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী দাবি করে তাদের গলায় থাকা সোনার চেইন চুরি হয়ে গেছে। তখন সেখানে দায়িত্বে থাকা কমিটির লোকজন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৩ জন নারীকে সন্দেহ হলে বাঙ্গরা বাজার থানায় খবর দেয়। সেখানে গিয়ে তাদেরকে আটক করে। প্রাথমিক সিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সবাই মুসলিম। পরে নারী পুলিশ সদস্য দিয়ে তাদের তল্লাশি করে একটি ছেড়া সোনার চেইন ও কিছু নগদ টাকা পাওয়া যায়। একপর্যায় তারা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে বলে পূজাম-পে তাদেরকে ছাড়াও আরো দুই গ্রুপে ৭-৮ জন সদস্য সেখানে এসেছিলো বাকি সোনার চেইন তাদের কাছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অজ্ঞাত নামা পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।