ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শান্তিপূর্ণ ভোট

আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরের বলীঘর হুজুরীশাহ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গৃহিনী ছালমা বেগম এসেছিলেন সকাল ১০ টায়। কিন্তু এর আগেই ভোটারদের লম্বাসারি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারায় খুশি তিনি। বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিয়েছি।’ ওই সময় একই কেন্দ্রের পপি আক্তারও বললেন, ‘অনেক ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে।’

যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার আবুল কালাম বলেন, ‘এমন সুষ্ঠু ভোট আগে কখনো দেখিনি।’ টনকি স্কুলের ললিতা রানী নির্বাচনী পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘কোনো রকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই ভোট দিয়েছি। যাকে খুশি তাকেই ভোট দিতে পেরে আনন্দিত।’

বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে দুপুরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট পড়ে। তবে দুপুরের পর ভোটারের উপস্থিতি কমে যায়। মুরাদনগর ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. কবির আহমেদ বলেন, ‘দুপুর দুইটার মধ্যে চার হাজার চারশ ৮৫ ভোটের মধ্যে ৩৪৫০টি ভোটগ্রহণ হয়েছে।’ আর বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ২শ ভোটের মধ্যে ৩ হাজার ৩০০ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানা যায়।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া (কাপ-পিরিচ) ও আহসানুল আলম কিশোর (নৌকা) উভয় প্রার্থীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে, তাঁরা কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার খবর বলতে পারেনি।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে র‌্যাব ও বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে শান্তিপূর্ণ ভোট

আপডেট সময় ০৮:১৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯
আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরের বলীঘর হুজুরীশাহ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গৃহিনী ছালমা বেগম এসেছিলেন সকাল ১০ টায়। কিন্তু এর আগেই ভোটারদের লম্বাসারি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারায় খুশি তিনি। বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিয়েছি।’ ওই সময় একই কেন্দ্রের পপি আক্তারও বললেন, ‘অনেক ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে।’

যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার আবুল কালাম বলেন, ‘এমন সুষ্ঠু ভোট আগে কখনো দেখিনি।’ টনকি স্কুলের ললিতা রানী নির্বাচনী পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘কোনো রকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই ভোট দিয়েছি। যাকে খুশি তাকেই ভোট দিতে পেরে আনন্দিত।’

বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে দুপুরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট পড়ে। তবে দুপুরের পর ভোটারের উপস্থিতি কমে যায়। মুরাদনগর ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. কবির আহমেদ বলেন, ‘দুপুর দুইটার মধ্যে চার হাজার চারশ ৮৫ ভোটের মধ্যে ৩৪৫০টি ভোটগ্রহণ হয়েছে।’ আর বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ২শ ভোটের মধ্যে ৩ হাজার ৩০০ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানা যায়।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া (কাপ-পিরিচ) ও আহসানুল আলম কিশোর (নৌকা) উভয় প্রার্থীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে, তাঁরা কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার খবর বলতে পারেনি।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে র‌্যাব ও বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায়।