শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর ঃ
শিক্ষকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে টিউবয়েলে পানি খেতে গিয়ে সহপাঠির সাথে সামান্য পানি একে অপরকে ছিটানোর ঘটনা ম্যাডাম দূর থেকে দেখেন। পরে তিনি ক্লাস রুম থেকে ডেকে নিয়ে চারটা বেত এক সাথে করে এলোপাতারি পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে মেজেতে শুয়ে পড়লে ম্যাডাম পিটানো ক্ষ্যান্ত দেন।
বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৮নং বেডে শুয়ে ফঁুপিয়ে ফুঁিপয়ে কেঁদে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন শিক্ষাথর্ী রোমান আহমেদ। ততক্ষনে রোমানের বেডের আশ-পাশের অনেকেই জড়ো হয়। তার সারা শরীরের ফোলা জখম দেখে উপস্থিত সবাই আক্ষেপ করে বলেন, এমন নির্দয় ভাবে কোন শিক্ষক ছাত্রকে মারতে পারে তাকে না দেখলে বিশ্বাস হবার নয়। এই ঘটনায় রোমানের বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হাসপাতালের বেডে কাতরানো রোমান আহমেদ (১৩) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভূইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। অভিযুক্ত শিখা রানী রায় (৪৮) ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষক।
রোমানের পিতা মানিক মিয়া বলেন, ‘সামান্য পানি ছিটানোর ঘটনায় এ ভাবে কোন শিক্ষক তার ছাত্রকে মারতে পারে না। খোজ নিয়ে জানতে পারলাম ম্যাডামের কথা মতো গাইড বই না কিনাতে পুষে রাখা ক্ষোভ থেকে রোমানকে নির্দয় ভাবে পিটিয়ে আহত করেছে তিনি। এই ঘটনায় ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’
অভিযুক্ত শিখা রানী রায় মুঠো ফোনে বলেন, রোমান অন্য ছাত্রের গায়ের উপরে প্রসাব করে দিয়েছে। তাই তাকে শাসন করেছি। আপনি গাইড বই কিনতে চাপ দেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের সমিতি থেকে পপি গাইড নির্ধারণ করে দিয়েছে, তাই আমি গাইড কিনতে উৎসাহ দেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি এসে দেখবো।