ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শিক্ষার্থীদের প্রাণোচ্ছ্বল বনভোজন

রায়হান চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভূতাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বনভোজন।

শনিবার সকাল থেকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের হাসি, আনন্দ, খেলাধুলা ও উচ্ছ্বাসের রঙিন সমারোহ জমে ওঠে। শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আন্তরিক অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই আয়োজনটি রূপ নেয় এক প্রাণোচ্ছ্বল মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, “সেবাই ধর্ম—এই চিরন্তন বাণী মানবিক শিক্ষার মর্মবাণী বহন করে। জীবে প্রেম মানেই ঈশ্বরকে সেবা করা। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিনোদন, আনন্দ, সুস্থ সামাজিক সম্পর্ক এবং দলগত সম্প্রীতি অপরিহার্য। বনভোজন শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি দূর করে নতুন উদ্যম সৃষ্টির অন্যতম সেরা মাধ্যম।”

তিনি আরও বলেন, “খাবার মানুষের পেটের খোরাক জোগায়, আর নৃত্য মানুষের মনের খোরাক জোগায়। শিক্ষার্থীদের মাঝে এমন ভরপুর আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারা আমাদের জন্য বড় সৌভাগ্য।”

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, পাঠ্যক্রমের বাইরে এমন আয়োজন শিশুদের সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক যোগাযোগ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেলাধুলা, আড্ডা, গান, নাচ এবং মুক্ত পরিবেশ—সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হয়ে ওঠে স্মৃতিময় এক মূল্যবান দিন।

আনন্দঘন মুহূর্তে ধারণ করা ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের অকৃত্রিম হাসি, শিক্ষকদের স্নেহময় সঙ্গ এবং ভূতাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি উচ্ছ্বসিত দিনের রঙিন আবহ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বিকল্প কেউ নেই : কায়কোবাদ

মুরাদনগরে শিক্ষার্থীদের প্রাণোচ্ছ্বল বনভোজন

আপডেট সময় ০৭:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রায়হান চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভূতাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বনভোজন।

শনিবার সকাল থেকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের হাসি, আনন্দ, খেলাধুলা ও উচ্ছ্বাসের রঙিন সমারোহ জমে ওঠে। শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আন্তরিক অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই আয়োজনটি রূপ নেয় এক প্রাণোচ্ছ্বল মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, “সেবাই ধর্ম—এই চিরন্তন বাণী মানবিক শিক্ষার মর্মবাণী বহন করে। জীবে প্রেম মানেই ঈশ্বরকে সেবা করা। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিনোদন, আনন্দ, সুস্থ সামাজিক সম্পর্ক এবং দলগত সম্প্রীতি অপরিহার্য। বনভোজন শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি দূর করে নতুন উদ্যম সৃষ্টির অন্যতম সেরা মাধ্যম।”

তিনি আরও বলেন, “খাবার মানুষের পেটের খোরাক জোগায়, আর নৃত্য মানুষের মনের খোরাক জোগায়। শিক্ষার্থীদের মাঝে এমন ভরপুর আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারা আমাদের জন্য বড় সৌভাগ্য।”

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, পাঠ্যক্রমের বাইরে এমন আয়োজন শিশুদের সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক যোগাযোগ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেলাধুলা, আড্ডা, গান, নাচ এবং মুক্ত পরিবেশ—সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হয়ে ওঠে স্মৃতিময় এক মূল্যবান দিন।

আনন্দঘন মুহূর্তে ধারণ করা ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের অকৃত্রিম হাসি, শিক্ষকদের স্নেহময় সঙ্গ এবং ভূতাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি উচ্ছ্বসিত দিনের রঙিন আবহ।