মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসটি উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক সাহেব আলীর বিরুদ্ধে বার বার তদন্তে অভিযোগ প্রমানীত হলেও রহস্যজনক কারণে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না অভিযোগ ওঠেছে। তিনি দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত একই কর্মস্থলে থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
একই অভিযোগে অফিস সহকারী জসিম উদ্দিনকে অন্যত্র বদলি করা হলেও উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা সাহেব আলী বহাল তবিয়তে থাকার খুটির জোর কোথায় জানতে চায়?। আজ সোমবার অধিদপ্তর থেকে সাহেব আলীর বিরুদ্ধে আসা তদন্তের বিষয়টি একটি প্রভাবশালী মহলেরর যোগসাজসে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, উপজেলার প্রায় এক হাজার দুই শত শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক সাহেব আলী ও অফিস সহকারী জসিম উদ্দিনের হাতে জিম্মি ছিল। বিভিন্ন স্থানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে জসিম উদ্দিনকে অন্যত্র বদলি করা হলেও সাহেব আলীকে রহস্যজনক কারণে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জসিম উদ্দিন আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। চাহিদা মতো ঘুষের টাকা দিয়েও যথাসময়ে কোন কাজ করছে না এমন অসংখ্য অভিযোগ সাহেব আলীর বিরুদ্ধে। বিষয়টির ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করাতো দূরের কথা সাধারণ শিক্ষকগণ ভয়েও কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সাহেব আলী ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত সময় চাকুরীর সুবাধে কিছু অসাধু শিক্ষকদের যোগসাজসে তারা একটি বিশাল নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করেছে। যার ফলে ধরাকে সরা জ্ঞান করে দিনের পর দিন শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পর একাধিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় জসিম উদ্দিনকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তুু উক্ত দুর্ণীতিবাজ কেরানী সাহেব আলীর বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কর্তৃপক্ষ। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সাহেব আলীর বিরুদ্ধে আরেকটি তদন্ত আসছে বলে অভিযোগকারী শিক্ষকদের সকাল সাড়ে ৯টায় থাকার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার এএনএম মাহবুব আলম চিঠি দিয়েছেন। কিন্তুু পূর্বের তদন্তের সময় অনেক শিক্ষক স্বাক্ষী দেওয়ায় তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে। ফলে এখনো আবার নতুন করে আতংকে ভূগছে অভিযোগকারী শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক সাহেব আলী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমরা সাধারণ কর্মচারী মাত্র। স্যারদের নির্দেশে অফিসের বিভিন্ন কাজ করে থাকি। আমার দোষ একটায় আমি দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। তারপরও আমি অন্যত্র বদলি হতে প্রস্তুত। কর্তৃপক্ষ বদলি না করলে আমি যাব কিভাবে।
বিষয়টির ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কোন অভিযুক্ত ব্যাক্তি স্বপদে থাকা ঠিক নয়। তদন্তে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক সাহেব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানীত হয়েছে। কিন্তু জেলার কোথাও সাহেব আলীর পদে লোক না থাকায় বদলি করা যাচ্ছে না। সোমবার অধিদপ্তর থেকে সাহেব আলীর বিরুদ্ধে আরেকটি তদন্ত আসছে। ওনাকে বলে দেখেন তিনি যে কোন জেলায় বদলির ক্ষমতা রাখেন।