মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “হত্যার হুমকির” প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। এ সময় প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায় বিএনপির ক্যাডার বাহিনী। এতে আওয়ামী লীগের ৮/১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

সোমবার (২২ মে) বিকেলে উপজেলার আল্লাহ্ চত্বরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম সারওয়ার চিনু (৪৮), যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের (৪৫), উপজেলা স্বেচ্ছাসবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মানিক (২৮), মুরাদনগর উপজেলা যুব লীগের আহ্বায়ক রুহুল আমীন (৩২), সদস্য কাজী সাইফুল ইসলাম (৪৫), নুরুদ্দিন সরকার রিপন (৪৪), যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম (৩৩), ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান তুহিন (২৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার আল্লাহ্ চত্বরে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতার করা বিতর্কিত মন্তব্যে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। ঠিক সেই মূহুর্তে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক আজহম্মেদ বাদসা ও ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপির একদল ক্যাডার বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম সারওয়ার চিনু অভিযোগ করে বলেন, মুরাদনগরে সুষ্ঠ রাজনৈতিক পরিবেশ ছিলো। বিএনপির তান্ডবে আওয়ামী লীগের নেতারা আক্রান্ত হচ্ছে। বিএনপিকে প্রতিহত করে দেশকে স্বাভাবিক করতে হবে, জনগনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি মানুষের উপর আক্রমণ করে মানুষের ক্ষতি করে। আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে করা বিরুপ মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় আজকে বিএনপি কর্তৃক এই হামলা। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী জলিল বলেন, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনার স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।