ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শ্রমিক সংকটে কৃষকের ধান কেটে দিল কৃষকলীগ

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

করোনাকালে পুরো দমে শুরু হয়েছে ধানকাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ধানের শীষের ডগায় বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের হাসি। এরই মধ্যে চলমান লকডাউনে ধানকাটা ও মাড়াই কাজে নিয়োজিত শ্রমিক সংকটে অনেকটাই ভাটা পড়ছে কৃষকের স্বপ্ন। দিনকয়েক আগে ক্ষেতের ধান কাটার সময় হলেও শ্রমিক ও অর্থাভাবে তা কাটতে পারছিলেন না কৃষকরা।

অন্যদিকে এই মৌসুমে যেকোন সময় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় তারা ছিলেন দিশেহারা। সংকটময় এই সময়ে বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ’র নির্দেশনায় অসহায় কৃষকের পাশে দাড়িয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার সকালে উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামে উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন খন্দকারের নেতৃত্বে বিনা পারিশ্রমিকে কৃষক মোঃ সিরাজুল ইসলামের প্রায় ৫০ শতাংশ জমির ধান কেটে বাড়ীতে পৌছে দিয়ে মাড়াই করে দেন নেতাকর্মীরা। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের এমন মহৎ উদ্যোগে আনন্দিত কৃষকরা।

এসময় ধান কাটায় আরো অংশগ্রহন করেন উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহফুজুর রহমান বাকির, মোঃ হাসান মিয়া, কৃষকলীগ নেতা মোঃ কামরুল হাসান, রুহুল আমিন, আব্দুল কাদের, শ্যামল সূত্রধর, আব্দুর রশিদ, শাহজাহান সরকারসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পযার্য়ের বিভিন্নস্তরের নেতাকমর্ীরা।

কৃষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমার ধান কাটার সময় হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগে। কিন্তু বদলি(শ্রমিক) ও টাকার অভাবে ধানগুলো প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় আমার পাশে এসে দাড়ায় কৃষকলীগের ভাইয়েরা। তারা জমি থেকে আমার ধানগুলো কেটে বাড়িতে পৌছে দিয়ে মাড়াই করে দিছে”।

উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, “বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং আমার নেতা সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ’র নির্দেশনায় মুরাদনগর উপজেলা কৃষকলীগ বিনা পারিশ্রমিকে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে বাড়ী পৌছে মাড়াই করে দিচ্ছি। প্রতিটি ইউনিয়নের আমাদের কৃষকলীগের নেতাকমর্ীদেরকে এভাবে ধান কেটে দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কৃষকের ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে”।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

মুরাদনগরে শ্রমিক সংকটে কৃষকের ধান কেটে দিল কৃষকলীগ

আপডেট সময় ০২:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

করোনাকালে পুরো দমে শুরু হয়েছে ধানকাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ধানের শীষের ডগায় বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের হাসি। এরই মধ্যে চলমান লকডাউনে ধানকাটা ও মাড়াই কাজে নিয়োজিত শ্রমিক সংকটে অনেকটাই ভাটা পড়ছে কৃষকের স্বপ্ন। দিনকয়েক আগে ক্ষেতের ধান কাটার সময় হলেও শ্রমিক ও অর্থাভাবে তা কাটতে পারছিলেন না কৃষকরা।

অন্যদিকে এই মৌসুমে যেকোন সময় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় তারা ছিলেন দিশেহারা। সংকটময় এই সময়ে বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ’র নির্দেশনায় অসহায় কৃষকের পাশে দাড়িয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার সকালে উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামে উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন খন্দকারের নেতৃত্বে বিনা পারিশ্রমিকে কৃষক মোঃ সিরাজুল ইসলামের প্রায় ৫০ শতাংশ জমির ধান কেটে বাড়ীতে পৌছে দিয়ে মাড়াই করে দেন নেতাকর্মীরা। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের এমন মহৎ উদ্যোগে আনন্দিত কৃষকরা।

এসময় ধান কাটায় আরো অংশগ্রহন করেন উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহফুজুর রহমান বাকির, মোঃ হাসান মিয়া, কৃষকলীগ নেতা মোঃ কামরুল হাসান, রুহুল আমিন, আব্দুল কাদের, শ্যামল সূত্রধর, আব্দুর রশিদ, শাহজাহান সরকারসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পযার্য়ের বিভিন্নস্তরের নেতাকমর্ীরা।

কৃষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমার ধান কাটার সময় হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগে। কিন্তু বদলি(শ্রমিক) ও টাকার অভাবে ধানগুলো প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় আমার পাশে এসে দাড়ায় কৃষকলীগের ভাইয়েরা। তারা জমি থেকে আমার ধানগুলো কেটে বাড়িতে পৌছে দিয়ে মাড়াই করে দিছে”।

উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, “বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং আমার নেতা সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ’র নির্দেশনায় মুরাদনগর উপজেলা কৃষকলীগ বিনা পারিশ্রমিকে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে বাড়ী পৌছে মাড়াই করে দিচ্ছি। প্রতিটি ইউনিয়নের আমাদের কৃষকলীগের নেতাকমর্ীদেরকে এভাবে ধান কেটে দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কৃষকের ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে”।