মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
রোজ রোববার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মেটংঘর গ্রামে সৎ মায়ের হাতে কন্যা সন্তান জিলানী আক্তার(৭) কে গলাটিপে হত্যার পর লাশ পানিতে ডুবিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সৎ মাসহ চারজনকে থানা পুলিশ আটক করলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
শনিবার তাদেরকে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে হাজির করার পর আটককৃতরা সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকতা ও মুরাদনগর থানার এসআই জসিম উদ্দিন।
আটকৃতরা হলেন, মেটংঘর গ্রামের নিহতের সৎমা রাশিদা বেগম(২২), ভাই শাহ আলম(২০), আলম মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৮) পিতা, হুমায়ন কবিরের স্ত্রী রানু বেগম (৫০) ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে জিলানী আক্তার(৭) কে আটককৃতরা হত্যা করে গ্রামের জয়দলের পুকুরে লাশ ডুবিয়ে রেখে এলাকায় হারিয়ে গেছে বলে মাইকিং করায়। পর দিন লাশ পুকুরে বেশে ওঠে, শুত্রবার পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে, পুলিশ ঐ দিন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনার ৪ জন আসামীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহত শিশু জিলানী আক্তারে সৎ মা রাশিদা বেগম এবং রাশিদার মা রানু বেগম পরিকল্পিত ভাবে শিশুটিকে অন্য আসামিদের সহায়তায় গলা টিপে হত্যা করে অপর আসামীকে আটকের অভিযান চলছে।