ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সরকারি কর্মচারীদের ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর:

সচিবালয়ের ন্যায় পদবী পরিবর্তন এবং বেতন গ্রেড উন্নীত করার দাবিতে সারা দেশের মতো কুমিল্লার মুরাদনগরেও তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করে করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন ভবনের সামনে তিন ঘন্টার এ কর্মবিরতি পালন করে তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী হারুন অর রশিদ, নাজির সালাউদ্দিন, চেকিং কাম সায়রাত সহকারী তাশরিফুল ইসলাম, ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী আবদুল জলিল, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শাহ আলম, সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেন, কাউছার আলম ও একাউন্টেন্ট ক্লার্ক নুরুল আমিন প্রমুখ।

উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী হারুন অর রশিদ জানান, বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সচিবালয়ের ন্যায় আমাদের পদবি পরিবর্তন এবং আমাদের বেতন গ্রেড পরিবর্তনের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঘোষিত ৩ মাসের কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিনে দুই ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা কালেক্টরেট কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীরের সাথে দেখা করে তাদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের নিকট অনুরোধ করেছেন।

আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানায়, মাঠ প্রশাসনকে বাদ দিয়ে অন্য দপ্তরের কর্মচারীদের বিভিন্ন পদবি পরিবর্তন করে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হলেও আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আমরা সরকারের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নে শতভাগ কাজ করলেও আমাদের ন্যায্য দাবি মানা হচ্ছে না। দীর্ঘ দিনের দাবিকৃত পদবী পরিবর্তনে বারংবার আশ্বাস দিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি শুরু করেছে। ২০১১ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদবি পরিবর্তন সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ অনুমোদন দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এতে কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃ্ষ্িট হয়েছে। সারা দেশে একযোগে বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করছে। এতে করে কালেক্টরেটসহ সংশ্লিষ্ট অফিস সমুহের কার্যক্রম স্থবির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ই-নথিসহ সকল কাজে মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সালাউদ্দিন জানান, আমরা সরকারের কাছে ২০ বছর যাবত পদবি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না। এবার আমাদের দাবি মানা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

উপজেলা ভূমি অফিসের চেকিং কাম সায়রাত সহকারী তাশরিফুল ইসলাম জানান, কালেক্টরেট কর্মচারীদের দাবি ন্যায্য হওয়া সত্ত্বেও তা পুরণ না করে অন্য দপ্তরে পদবী পরিবর্তন করা হচ্ছে। যা আমাদের অপমান করা হচ্ছে।

ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী আবদুল জলিল জানান, পদবি পরিবর্তনের দাবি আমাদের পূরণ করতে হবে। না হয় কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।

উল্লেখ, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের পদ পদবি পরির্তন করে প্রশাসনিক কর্মকতা করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের ৭ শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ

মুরাদনগরে সরকারি কর্মচারীদের ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন

আপডেট সময় ০৩:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর:

সচিবালয়ের ন্যায় পদবী পরিবর্তন এবং বেতন গ্রেড উন্নীত করার দাবিতে সারা দেশের মতো কুমিল্লার মুরাদনগরেও তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করে করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন ভবনের সামনে তিন ঘন্টার এ কর্মবিরতি পালন করে তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী হারুন অর রশিদ, নাজির সালাউদ্দিন, চেকিং কাম সায়রাত সহকারী তাশরিফুল ইসলাম, ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী আবদুল জলিল, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শাহ আলম, সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেন, কাউছার আলম ও একাউন্টেন্ট ক্লার্ক নুরুল আমিন প্রমুখ।

উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী হারুন অর রশিদ জানান, বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সচিবালয়ের ন্যায় আমাদের পদবি পরিবর্তন এবং আমাদের বেতন গ্রেড পরিবর্তনের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঘোষিত ৩ মাসের কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিনে দুই ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা কালেক্টরেট কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীরের সাথে দেখা করে তাদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের নিকট অনুরোধ করেছেন।

আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানায়, মাঠ প্রশাসনকে বাদ দিয়ে অন্য দপ্তরের কর্মচারীদের বিভিন্ন পদবি পরিবর্তন করে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হলেও আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আমরা সরকারের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নে শতভাগ কাজ করলেও আমাদের ন্যায্য দাবি মানা হচ্ছে না। দীর্ঘ দিনের দাবিকৃত পদবী পরিবর্তনে বারংবার আশ্বাস দিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি শুরু করেছে। ২০১১ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদবি পরিবর্তন সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ অনুমোদন দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এতে কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃ্ষ্িট হয়েছে। সারা দেশে একযোগে বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করছে। এতে করে কালেক্টরেটসহ সংশ্লিষ্ট অফিস সমুহের কার্যক্রম স্থবির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ই-নথিসহ সকল কাজে মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সালাউদ্দিন জানান, আমরা সরকারের কাছে ২০ বছর যাবত পদবি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না। এবার আমাদের দাবি মানা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

উপজেলা ভূমি অফিসের চেকিং কাম সায়রাত সহকারী তাশরিফুল ইসলাম জানান, কালেক্টরেট কর্মচারীদের দাবি ন্যায্য হওয়া সত্ত্বেও তা পুরণ না করে অন্য দপ্তরে পদবী পরিবর্তন করা হচ্ছে। যা আমাদের অপমান করা হচ্ছে।

ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী আবদুল জলিল জানান, পদবি পরিবর্তনের দাবি আমাদের পূরণ করতে হবে। না হয় কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।

উল্লেখ, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের পদ পদবি পরির্তন করে প্রশাসনিক কর্মকতা করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।