মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের রামচন্দ্রপুর-পাচঁকিত্তা-তিতাস সড়কে সামাজিক বনায়নের অর্ধলক্ষ টাকা মূল্যের পাচঁটি গাছ কর্তন করে ৪১ হাজার টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নে কাচারিকান্দি নতুন বাজার এলাকার সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের গাছ কর্তনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মৃত্যু সোনা মিয়া চেয়ারম্যানের ছেলে আনিছ মিয়া (৭০) নেতৃত্বে ৪-৫ জন লোক তাদের বাড়ির সামনের সড়কে থাকা ৫টি গাছ দড়িকান্দি গ্রামের রকিব উদ্দিনের ছেলে জালাল হুজুরের (৪২) কাছে ৪১ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করে। বুধবার সকালে জালাল হুজুর লোকজন নিয়ে গাছগুলো কর্তন করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপরে অভিযোক্ত আনিছ মিয়া বলেন, এই গাছ আমি লাগিয়েছি তাই আমি কর্তন করেছি! এরপরও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকতা কাছগুলো কর্তন করার অনুমতি দেওয়ায় কর্তন করেছি।
গাছ ক্রয় করা জালাল হুজুর বলেন, আমি গাছগুলো আনিছ মিয়ার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেছি এবং গাছ কাটার জন্য চেয়ারম্যান সাহেব বলায় আমি গাছগুলো ক্রয় করেছি।
এ বিষয়ে রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন, আনিছ মিয়া আমার কাছে এসে বলছে ঝড়ে কিছু গাছ ভেঙ্গে সড়কে পড়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেই কথা শুনে আমি বলেছি সড়কে যেহেতো পড়ে আছে সেই ঠালা গুলো কেটে দেন যেন লোকজন ও গাড়ি যাতায়ত করতে পারে।
রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকতা মো: মহিউদ্দিন অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানিইনা!
সমাজিক বনায়নের উপকোরভোগী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম মজুমদার বলেন, বিষটি আমি শোনেছি। আমি খুব অসুস্থ্য তাই ঘটনার স্থলে যেতে পারছিনা! খোঁজ-খবর নিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করব।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলার বন বিভাগের রেঞ্জ’র কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি সামাজিক বনায়নের গাছ হয়ে থাকে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অভিষেক দাস বলেন, বিষয়টি বন বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। খেজঁ-খবর নিয়ে সত্যতা পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।